নিষিদ্ধ হচ্ছে বহুবিবাহ! না মানলে ৭ বছরের জেল
‘‘যে সব ব্যক্তির স্ত্রী/স্বামী জীবিত রয়েছেন এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি, তাঁরা পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন না।” নতুন বিলে বহুবিবাহকে একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যদি কেউ আগের বিয়ে গোপন করে নতুন বিয়ে করেন, তা হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল হতে পারে। মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে। গোটা বিবাহপ্রক্রিয়ায় জড়িত কাজি বা পুরোহিত, গ্রামপ্রধান, মা-বাবা বা আইনি অভিভাবক-সহ বিয়েততে উৎসাহ জোগানো সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
‘অসম বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল, ২০২৫’-এ ভুক্তভোগী মহিলাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বহুবিবাহে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি রাজ্য সরকারের কোনও চাকরি পাবেন না। সরকারি কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। পঞ্চায়েত, পুরসভা ইত্যাদির কোনও নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি। এখানেই শেষ নয়, কেউ যদি বার বার একই অপরাধ করেন, তা হলে প্রতিটি অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তির দ্বিগুণ দণ্ড দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারির অনুমতি নিয়েই বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। যদিও তার আগেই বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়ে বিধানসভা কক্ষ থেকে ‘ওয়াকআউট’ করেন কংগ্রেস, সিপিআই (এম) এবং রাইজোর দল। প্রস্তাবিত বিলটি ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকা ছাড়া বাকি রাজ্যে প্রযোজ্য হবে। তবে সংবিধানের ৩৪২ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত তফসিলি জাতি ও জনজাতির সদস্যদের এই বিলের আওতায় আনা হবে না।