বৃহস্পতিবার বাংলা ভাষার ‘অপমান’ এবং ভিন্রাজ্যে বাঙালিদের ‘হেনস্থা’র বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল বিধানসভায়। সেই আলোচনায় মোদী সরকারকে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী , ‘‘২০২৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদের রেশন, নাগরিকত্ব, সাংবিধানিক অধিকার দেবেন তো?’’ তার পরেই তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা কারও নাগরিক অধিকার কাড়তে দেব না।’’
এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত কোনও ব্যক্তি- হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান - যারা ধর্মীয় নিপীড়ন বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে বা তার আগে পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি সহ বৈধ নথি ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছিলেন অথবা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি সহ বৈধ নথি সহ, এবং এই জাতীয় নথির বৈধতা শেষ হয়ে গিয়েছে, তারা বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকার নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এ নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সময়সীমা আরও ১০ বছর বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান) যারা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভারতে এসেছিলেন। তাদের পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়াই দেশে থাকতে দেওয়া হবে। তারা সবাই ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গত বছর কার্যকর হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)-এ বলা হয়েছিল নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সদস্যরা যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে এসেছিলেন, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেই সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করা হল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত কোনও ব্যক্তি- হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান - যারা ধর্মীয় নিপীড়ন বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে বা তার আগে পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি সহ বৈধ নথি ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছিলেন অথবা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি সহ বৈধ নথি সহ, এবং এই জাতীয় নথির বৈধতা শেষ হয়ে গিয়েছে, তারা বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকার নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
সদ্য বাস্তবায়িত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫-এর অধীনে জারি করা এই গুরুত্বপূর্ণ আদেশটি বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য, বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের জন্য, যারা ২০১৪ সালের পরে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তাঁরা স্বস্তি পাবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কেন্দ্রের নাগরকিত্ব আইন আরও কড়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে সব রাজ্যকেই ডিটেনশন ক্য়াম্প তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের আটকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও সন্দেহভাজনকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠাতে পারবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। যদি ওই সন্দেহভাজন বিদেশি দাবি করেন যে তিনি বিদেশি নন। তারপরও এই নিয়ে কোনও প্রমাণ দাখিল করতে না পারেন কিংবা আদালত থেকে এই নিয়ে জামিনের ব্যবস্থা না করতে পারেন, তবে তাঁকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে। অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বিদেশিদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ডিটেনশন শিবিরে পাঠানো হবে। সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫–র পরিপ্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।