আমেদাবাদের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। কেউ নতুন করে স্বপ্ন তৈরি করতে বিদেশে যাচ্ছিল কেউবা সদ্য বিয়ে করে প্রিয়জনের কাছে আবার কেউ কাজের সুত্রে বিদেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছিল। এখনও ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সবকটি দেহও উদ্ধার করা যায়নি। তখনই ফের এক ভয়ংকর মুহূর্তের সাক্ষী থাকল ভারতীয় বিমান পরিষেবা। থাইল্যান্ড থেকে নয়াদিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় মাঝ আকাশেই সেটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হলেন পাইলটরা।
রয়টার্স সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার AI 379 ফ্লাইটটি থাইল্যান্ডের ফুকেট বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল শুক্রবার সকালে। বিমানটিতে মোট ১৫৬ জন যাত্রী ছিলেন। তবে উড়ানের কিছুক্ষণ পরই বিমানে বোমা থাকার সন্দেহ তৈরি হয়, ফলে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সতর্কতা জারি করে বিমানটি ঘুরিয়ে আনা হয়। ফুকেট বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বিমানটি উড়াল দেয়। কিন্তু আকাশপথে অল্প কিছুটা অগ্রসর হতেই এই বোমাতঙ্কের খবর সামনে আসে। পাইলটরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিমানটিকে আন্দামান উপকূলবর্তী আকাশসীমা থেকে ফিরিয়ে এনে ফের ফুকেটে জরুরি অবতরণ করান। অবতরণের পর যাত্রীদের নিরাপদে বাইরে বের করে আনা হয় এবং বিমানটিকে ঘিরে জোরদার তল্লাশি চালানো হয়। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরাও উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। তবে শেষ পর্যন্ত, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও বিমানে কোনও বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।
আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও
উলেখ্য, ঘটনাটি যদিও সন্ত্রাসমূলক হামলা ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তবুও বিষয়টি উচ্চপর্যায়ের তদন্তাধীন রয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এয়ার ইন্ডিয়া এবং থাইল্যান্ডের নিরাপত্তা বিভাগ যৌথভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।এই ঘটনার জেরে, সাময়িক ভোগান্তি হলেও, পাইলটদের তৎপরতায় ১৫৬ জন যাত্রী এবং ক্রু সুস্থ-সবল অবস্থায় রক্ষা পান।আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার আবহে এই ধরনের ঘটনা গোটা দেশের মনোবলকে ধাক্কা দিচ্ছে। তাই বিমানবন্দরে ও বিমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি তুলেছেন সাধারণ যাত্রীরাও।