দুপুর ১:৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট AI171। টেক-অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি মেঘানী নগর এলাকায় একটি ডাক্তারদের হোস্টেলে আছড়ে পড়ে। বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন, যার মধ্যে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু এবং ২৩০ জন যাত্রী। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল উড়ান
দুর্ঘটনার পর বিমানটি থেকে বিশাল আগুনের গোলা দেখা যায় এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠে। বিমানটির শেষ সংকেত রেকর্ড হয় মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায়, টেক-অফের কয়েক সেকেন্ড পরেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজয় রূপানি ওই বিমানে ছিলেন। তিনি লন্ডনে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। তাঁর সিট নম্বর ছিল ২ডি এবং টিকিট বুকিং নম্বর ছিল 6FK2M2। তবে, এয়ার ইন্ডিয়া বা সরকারি কোনো সূত্র থেকে তাঁর উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। দুর্ঘটনার পর, উদ্ধারকাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দ্রুত আহমেদাবাদে পৌঁছে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে। এটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রথম মারাত্মক দুর্ঘটনা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দুর্ঘটনাস্থলের ছবি দেখে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। এয়ার ইন্ডিয়া নিহতদের পরিবারের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডা দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছেন।