কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। যদি এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তিনি আগামী ২০৩১ সালে বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবসর গ্রহণের পর ভারতের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হতে পারেন। তবে, তাঁর এ নিয়ে একটি বিশেষ বিষয় রয়েছে – যদি তিনি ২০৩১ সালের মে মাসে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন, তবে অক্টোবরেই তিনি অবসর নেবেন।
এই পরিস্থিতিতে, যদি জয়মাল্য বাগচি সত্যিই প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন, তাহলে তিনি আলতামাস কবীরের পর কলকাতা থেকে দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কলকাতা থেকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এক বিশেষ ঘটনা, কারণ আলতামাস কবীরই ছিলেন শেষ প্রধান বিচারপতি, যিনি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে উন্নীত হন। কলেজিয়ামের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, দীর্ঘদিন হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে বিচারকাজ করার ফলে জয়মাল্য বাগচি আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাঁর কাজের ক্ষেত্রেও তাঁর সাফল্য খুবই প্রশংসনীয়, বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায়, যেখানে তাঁর বিচারের ধারা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। পাশাপাশি, কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো উচ্চ প্রোফাইল মামলাতেও তাঁর বিচারের অঙ্গীকারকে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়।
আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ১৯ দিন বাতিল থাকতে পারে ২১২ লোকাল ট্রেন
উলেখ্য, জয়মাল্য বাগচি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন ২০১১ সালের ২৭ জুন এবং এরপর ২০১৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টে স্থানান্তরিত হন। ২০২১ সালে তিনি পুনরায় কলকাতা হাই কোর্টে ফিরে আসেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি এখানে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া, কলেজিয়াম কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনকে ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করার সুপারিশও করেছে। এটা স্পষ্ট যে, জয়মাল্য বাগচির সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত হওয়া শুধু তাঁর ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নয়, বরং এটি ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।