ভারতীয় ক্রীড়াবিদ সুশীল কুমার, যিনি অলিম্পিকে দুটি পদক জিতেছিলেন, দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পরে জামিন পেয়েছেন দিল্লি হাই কোর্ট থেকে। ২০২১ সালের ৪ মে, দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগির সাগর ধনকড়কে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সুশীল। সুশীলের বিরুদ্ধে খুনের মামলার তদন্ত চলছিল এবং সেই ঘটনার ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুশীল কুমারের কথাতেই সাগর ধনকড়কে মারধর করা হয়েছিল। সুশীল দাবি করেছিলেন, তিনি সাগরকে "উচিত শিক্ষা" দিতে চেয়েছিলেন, তবে খুনের উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। খুনের ঘটনায় সুশীল প্রায় দশ দিন পালিয়ে ছিলেন, পরে দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর আদালত সুশীলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু হয়, এবং তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় মোট ১৭ জন অভিযুক্ত ছিল, যারা সাগর ধনকড়ের খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সাগরের পরিবার শুরুতে দাবি করেছিল, সুশীলকে অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া হোক, কিন্তু আদালত তার জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন মঞ্জুর করে।
১৯ দিন আগে অধিনায়কের ঘোষণা কলকাতা নাইট রাইডার্স!
উলেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে সুশীলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় দিল্লির নিম্ন আদালতে, তবে সুশীলের আইনজীবী সেই রায়ের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, তদন্তের অগ্রগতি খুবই ধীর গতিতে চলছে। মোট ২২২ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৩১ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং মামলার প্রধান সাক্ষীও সুশীলকে চিহ্নিত করতে পারেননি। এসব যুক্তির পর, ৫০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে সুশীল কুমারের জামিন মঞ্জুর করে দিল্লি হাই কোর্ট। সুশীল কুমারের জামিনের পর, ভারতের ক্রীড়া মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর তাঁর মুক্তির ফলে অনেকেই আশা করছেন, আগামীতে সুশীল তাঁর ক্রীড়াক্ষেত্রে আবার ফিরতে পারবেন। তবে খুনের মামলায় সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে এবং আদালত মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারণ করবে।