পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২২ মার্চ লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এই সফরটি ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সফরে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর, বিশেষত রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে।
লন্ডন সফরের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সফরের পুরো সময়কালে তাদের নানা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান রয়েছে। সফরের প্রথম দিনগুলো যাতায়াতে ব্যয় হবে, এবং রবিবারও সফরের মধ্যে থাকবে। সফরের চারটি কার্যদিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
২৪ মার্চ: ইন্ডিয়া হাই কমিশনে অনুষ্ঠান
২৫ মার্চ: বিজিবিএস (বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) এর অনুষ্ঠান।
২৬ মার্চ: সরকারি জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) আলোচনা।
২৭ মার্চ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান।
এই সফরের মাধ্যমে রাজ্যের জন্য সম্ভাব্য ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধি ও বৈদেশিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
রাজ্য প্রশাসন পরিচালনার জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিদেশ সফরের সময় রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা প্রতিদিন রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ মনিটর করবেন এবং প্রয়োজন হলে নবান্নে যোগাযোগ করবেন। এই টাস্ক ফোর্সে আছেন: বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক: বিবেক কুমার, প্রভাত মিশ্র, নন্দিনী চক্রবর্তী।
পুলিশ কর্মকর্তা: রাজীব কুমার, মনোজ ভর্মা। এছাড়াও, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের মধ্যে পাঁচজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন- চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, সফরের সময়ও সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে এবং ফোন সবসময়ই খোলা থাকবে। কোনো বিশেষ পরিস্থিতি দেখা দিলে, মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন এবং রাজ্যের কাজে তেমন কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
যাত্রীদের জন্য বিরাট ঘোষণা কলকাতা মেট্রোর! প্রতি রবিবার একটি রুটে সম্পূ্র্ণ বন্ধ থাকবে মেট্রো চলাচল
বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লন্ডন সফর রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। গত মাসে রাজ্যের বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কের গুরুত্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এই সফরটি সেই প্রেক্ষাপটে আরও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর, যদিও ছোট আকারের, তবুও এটি রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ফলাফল আনতে সক্ষম হতে পারে, এবং এতে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল থাকবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।