আজ সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। গত ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নিয়োগে সম্মতি প্রদান করেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ আদালতে বিচারপতি বাগচীকে উন্নীত করা হয়।
উলেখ্য, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ভূষণ আর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিক্রম নাথ। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতি থাকার সুযোগ রয়েছে, তবে এর মধ্যে দু'টি পদ খালি ছিল। বিচারপতি বাগচীর নিয়োগের মাধ্যমে শূন্যপদটি পূর্ণ হয়েছে, এবং এখন শুধুমাত্র একটি শূন্যপদ রয়ে গিয়েছে। বিচারপতি বাগচীর নিয়োগের পর তাঁর কার্যকাল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি ২০৩১ সালের মে মাসে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে, ২০৩১ সালের ২ অক্টোবরই তাঁর অবসর গ্রহণের সময় শেষ হবে, অর্থাৎ মাত্র চার মাসের কিছু বেশি সময়ের জন্য তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরার পথে স্পেসএক্সের মহাকাশযান
প্রসঙ্গত, জয়মাল্য বাগচী ২০১১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হয়, এবং পরে ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনি আবার কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসেন। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ১৩ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি, যা তাকে আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর জ্ঞান প্রদান করেছে। ২০১৩ সালে বিচারপতি আলতামাস কবীরের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কোনও বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয়নি। বিচারপতি বাগচী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ হাইকোর্টের বিচারপতিদের সম্মিলিত সর্বভারতীয় সিনিয়রিটির নিরিখে ১১তম স্থানে ছিলেন। তাঁর নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে, এবং ভবিষ্যতে আইনি পদ্ধতি ও বিচারব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, বিচারপতি বাগচীর শীর্ষ আদালতে পদোন্নতি এবং তাঁর দীর্ঘমেয়াদী কর্মজীবন তাকে দেশের বিচার ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।