মুম্বইয়ের আন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্প্রতি পরিচালক রামগোপাল বর্মাকে চেক বাউন্স মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তবে, আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে, অর্থাৎ তিনি এই মামলায় জামিন পাবেন না। কিন্তু, পরিচালক জেল হাজত থেকে বাঁচার একটি সুযোগ পেতে পারেন। আদালত তাকে নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে তিনি অভিযোগকারী মহেশচন্দ্র মিশ্রকে ৩.৭ লক্ষ টাকা প্রদান না করলে, তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথে ভারতের বিশেষ স্থান
উলেখ্য, এই চেক বাউন্স মামলার সূত্রপাত ২০১৮ সালে, যখন মহেশচন্দ্র মিশ্র নামক এক ব্যক্তি রামগোপাল বর্মার বিরুদ্ধে চেক বাউন্সের অভিযোগ তোলেন। মিশ্র সেসময় একটি কোম্পানি "শ্রী" প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ছিল বর্মার কর্পোরেশন কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ অনুসারে, বর্মা কিছু টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, যার কারণে এই মামলা শুরু হয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছিল যখন পরিচালক, যিনি তখন আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিলেন, বারবার আদালতে উপস্থিত না হওয়ার জন্য অভিযুক্ত হন। এই কারণে আদালত তাকে ১৩৮ ধারায় অভিযুক্ত করেছে এবং গত ২১ জানুয়ারি আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, পরিচালক, যিনি সম্প্রতি নিজের অফিস বিক্রি করে দিয়েছেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যর্থতার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই মামলার বিভিন্ন শুনানির জন্য বারবার আদালতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন। তবে, ২০২২ সালের জুন মাসে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন তাকে জামিন অযোগ্য পরোয়ানার মুখে পড়তে হয়েছে। এদিকে, সাজা ঘোষণার পরপরই রামগোপাল বর্মা তাঁর নতুন ছবি "সিন্ডিকেট"-এর ঘোষণা করেছেন। যদিও এখনো নিশ্চিত নয়, এই নতুন প্রকল্প পরিচালককে তার বর্তমান আইনি সমস্যার মধ্যে থেকে মুক্তি দিতে পারবে কি না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা, যা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকের কাছে বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। রামগোপাল বর্মা, যিনি একসময় বলিউডের একজন প্রভাবশালী পরিচালক ছিলেন, এখন কঠিন সময়ে পড়েছেন। তার এই আইনি সমস্যার পরিণতি কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।