বর্তমান সময়ে পেট্রোলের ক্রমবর্ধমান দামে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। কিন্তু, এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই জনগণের জন্য সুখবর রয়েছে। ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, শীঘ্রই সারা দেশে পেট্রোল পাম্পগুলিতে ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল পাওয়া যাবে, যার দাম বর্তমান পেট্রোলের থেকে প্রায় ২০ টাকা কম হবে। ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের ব্যবহারে কমে যাবে জ্বালানীর খরচ। ইথানল মূলত আখ এবং চিনি ফসল থেকে উৎপন্ন হয়, যা পেট্রোলের তুলনায় অনেক কম দামে পাওয়া যায়। নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, শীঘ্রই দেশে বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্পে ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল বিক্রি শুরু হবে, যার ফলে প্রতিটি লিটারের মূল্য কমে ৬৫ টাকা পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। বিশেষভাবে, ৬০% ইথানল এবং ৪০% বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে পেট্রোলের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে।
কাশ্মীরের নাম পালটে কি রাখলেন আমিত শাহ
নীতিন গড়করি আরও জানিয়েছেন যে, টয়োটা ইতোমধ্যেই একটি ইথানল চালিত গাড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে, যার জ্বালানি খরচ প্রতি লিটারে মাত্র ২৫ টাকা। এই ধরনের গাড়ি চলাচলে আরও সাশ্রয়ী হবে এবং ভবিষ্যতে আরও ইথানল চালিত গাড়ি বাজারে আসবে, যা সাধারণ জনগণকে উচ্চমূল্যের পেট্রোল ও ডিজেল থেকে মুক্তি দেবে। ফ্লেক্স-জ্বালানি, যা ইথানল বা মিথানল পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত থাকে, সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেট্রোলের খরচ কমানো সম্ভব হবে। গড়করি জানিয়েছেন, কম খরচে ফ্লেক্স ইঞ্জিন তৈরি করা যায়, যার ফলে গাড়ির দামও কমানো যাবে এবং জ্বালানীর দাম ২৫ টাকা প্রতি লিটার পর্যন্ত নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোলে ২০% ইথানল মেশানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর ফলে, দেশের পেট্রোল ও ডিজেলের উপর নির্ভরতা কমবে, যা পরিবেশের জন্যও উপকারী প্রমাণিত হবে। এছাড়াও, সরকার স্ট্যান্ডার্ড ফুয়েল অনুমোদন করেছে, যা তেল কোম্পানিগুলিকে সরাসরি ইথানল বিক্রি করতে এবং এটি পেট্রোলের মতো ব্যবহার করতে দেবে। এটি শুধুমাত্র পেট্রোলের দাম কমাবে না, বরং পরিবেশের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। এই পদক্ষেপগুলি জনগণকে ব্যয়বহুল পেট্রোল ও ডিজেল থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে এবং দেশের বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়াবে, যা পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদীভাবে লাভজনক হবে।