স্কুল জীবনের প্রথম বড় পরিক্ষা আজ, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ২২শে ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছরের মতো এবারও কড়া নজরদারি এবং বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধার জন্য। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ জন পুরুষ এবং ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন মহিলা। মোট ২৬৮৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। গত বারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ৬২ হাজার বেশি।
প্রথম দিনে পরীক্ষা শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়, তবে পরবর্তী দিনগুলোতে পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে কড়া নজরদারি থাকবে, এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য স্মার্ট গ্যাজেট নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যদি কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষার সময় স্মার্টফোন বা অন্য কোনও স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তার পরীক্ষাটি বাতিল হয়ে যাবে। টোকাটুকি রোধ করতে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে টয়লেটেও, যেখানে অনেকেই স্মার্ট গ্যাজেট লুকিয়ে রাখতে পারেন।
নতুন আয়কর বিল অনুমোদন দিল কেন্দ্র মন্ত্রিসভা
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার বিশেষ বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে। ১০, ১১, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, এবং ২২ ফেব্রুয়ারি এই স্পেশাল বাস চলবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য সকাল ৮:৪৫ মিনিটে বাসগুলি চলতে শুরু করবে, এবং দুপুর ২:১৫ মিনিটে পরীক্ষার পরও বিশেষ বাসগুলি চলবে। বাসগুলিতে পরীক্ষা স্পেশাল বোর্ড থাকবে, তবে অন্য যাত্রীরাও এই বাসগুলোতে উঠতে পারবেন। বাসগুলির বিভিন্ন রুটে চলাচল করা হবে, যেমন দক্ষিণেশ্বর, এসপ্ল্যানেড, কুঁদঘাট, বেহালা, হাওড়া, গড়িয়া ইত্যাদি।যেকোনো সমস্যা বা জরুরি পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই হেল্পলাইন নম্বরগুলি চালু করা হয়েছে যে গুলি হল ০৩৩-২৩২১৩৮১৩, ০৩৩-২৫৩৯২২৭৭ এছাড়াও কলকাতা পুলিশের একটি হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে ৯৪৩২৬১০০৩৯ ।
উলেখ্য,এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা একটি কঠিন পরিক্ষার হতে পারে, তবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিশেষ বাস পরিষেবার কারণে পরীক্ষার্থীরা বেশ কিছু সুবিধা পাবে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তারা পরীক্ষায় একাগ্রতা বজায় রেখে অংশগ্রহণ করতে পারে। এই উদ্যোগগুলি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।