নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষ থেকে আয়কর আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি চলছে। এর জন্য আগামী সপ্তাহে সংসদে একটি নতুন বিল পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বিলটিকে অনুমোদন দিয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হতে চলেছে।
টলিউডে সংকট ও পরিচালক গিল্ডের কর্মবিরতি
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে আয়কর আইন হিসেবে ১৯৬১ সালের আইনের উপর ভিত্তি করে কাজ হচ্ছে। প্রায় ছয় দশক পুরনো এই আইনটি একাধিক পরিবর্তন ও সংশোধনের মাধ্যমে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার কেন্দ্র এই আইনে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চায়, যার মাধ্যমে শুধু করদাতাদের জন্য নয়, প্রশাসনিকভাবে আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, স্পষ্ট এবং সোজাসাপটা করা হবে। অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, নতুন আয়কর আইনটি আরও সহজবোধ্য এবং সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে। এই বিলটির পাস হলে করদাতারা আর বাজেটের অপেক্ষায় থাকবে না, বরং আয়কর সংক্রান্ত ছাড় বা সুবিধাগুলি আরও দ্রুত পেতে পারবেন। এক্ষেত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন আইনটি পাস হলে বেশ কিছু পুরোনো আইনি জটিলতা ও মামলা-মোকদ্দমা এড়ানো সম্ভব হবে। নতুন বিলটি তৈরি করতে মাত্র ছয় মাস সময় লেগেছে। অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতর, বিশেষ করে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্স (CBDT), অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ করেছে। সিবিডিটি আয়কর আইনকে সংক্ষিপ্ত এবং আরও সহজ করার লক্ষ্যে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছে এবং এই সংশোধনের জন্য ২২টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা আইনটির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেছেন।
বিশেষত, ২০২৫-২০২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় নির্মলা সীতারামন এই নতুন আয়কর বিলের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘নতুন বিলটি আয়করের অর্ধেক জটিলতা কাটিয়ে দেবে এবং করদাতা এবং প্রশাসন উভয়ের জন্য তা আরও সহজবোধ্য হবে।‘’ এছাড়া, নতুন আইন তৈরির আগে জনগণের মতামতও নেওয়া হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৬,৫০০-এর বেশি পরামর্শ পেয়েছে। এই পরামর্শগুলো আয়কর আইনের ভাষা সহজতর করা, মামলা মোকদ্দমা কমানোর জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দিয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হলে, এটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের জন্য আয়কর ব্যবস্থাকে সুবিধাজনক করবে, তেমনই করদাতাদের জন্য এটি একটি সুরক্ষিত এবং ঝামেলাবিহীন পরিবেশ তৈরি করবে।