মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে, স্থানীয় সময় ৯টার দিকে, ওয়াশিংটনের রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণের সময়। রিপোর্ট অনুযায়ী, এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫৩৪২ কানসাস থেকে উড়ে আসছিল এবং দুর্ঘটনার পর এটি পোটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার সময়ের এক ভীতিকর দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি একটি অন্ধকার আকাশে উড়ছে এবং তার আলো শহরের রাস্তার আলো ও চলন্ত গাড়ির আলোর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। আচমকা আকাশে এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যেখানে বিমানটির আলো ধাক্কা খায় হেলিকপ্টারের সঙ্গে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটি আকাশ থেকে পড়ে যায়, সঙ্গে ধোঁয়ার কুণ্ডলি ভেসে ওঠে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অংশও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সংঘর্ষের ঠিক আগে সামরিক হেলিকপ্টারটির কাছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানতে চাচ্ছিলেন, "প্যাট ২৫, তুমি কি সিআরজে (বিমানটি) দেখতে পাচ্ছ?" এর পরপরই কন্ট্রোলার নির্দেশ দেন, "প্যাট ২৫, সিআরজের পিছন দিয়ে যাও," কিন্তু এর কিছু সেকেন্ড পরই দুর্ঘটনা ঘটে।
দিল্লিতে বিরাট কোহলির রঞ্জি ম্যাচে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে আহত বহু দর্শক
উলেখ্য, এদিকে দুর্ঘটনার পর ওয়াশিংটন ডিসি বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ জানিয়েছেন যে, বিমানে যাত্রী ছিলেন, তবে এখনো বিমানটির আরোহী সংখ্যা এবং হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, "আমরা এখনও জানি না বিমানে কতজন ছিলেন, তবে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।" দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হোয়াইট হাউজের খুব কাছেই, এবং পরবর্তী সময়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানায়, এই ঘটনায় ট্রাম্পকে অবগত করা হয়েছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫৩৪২ যেটি ক্যানসাস থেকে উড়েছিল, সেই বিমানটি সর্বোচ্চ ৬৪ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। বর্তমানে বিমানটির আরোহী বা হতাহতের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ওয়াশিংটন ডিসির রিগান এয়ারপোর্টে এই দুর্ঘটনার পর পরবর্তী তদন্ত শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজ চললেও, সামরিক হেলিকপ্টারটির সংশ্লিষ্টতার কারণ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। এই দুর্ঘটনা মার্কিন বিমান চলাচলের ইতিহাসে একটি মারাত্মক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। যদিও এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে, সবার আশা উদ্ধারকৃতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।