ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে বেজিংয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে গত বুধবার। ২৩তম বৈঠক বুধবার বেইজিংইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য আলোচনা করা হয়েছে। এই বৈঠকটি বিশেষ, কারণ পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত টহল এবং এলএসি লঙ্ঘন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। উভয় দেশ ডেমচোক ও ডেপসাং এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি বাস্তবায়নের পরে আলোচনা করা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তকারিদের জন্য আসছে 'ডেঙ্গু শিল্ড
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ডিসেম্বরের পর এই প্রথম পর্যায়ের বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে। এবং বৈঠকের পরে দুই দেশের তরফ থেকে প্রকাশ করা হল দু'টি ভিন্ন বিবৃতি। যেখানে চিন বলেছে, ৬টি ক্ষেত্রে দুই পক্ষ সহমত পোষণ করেছে, সেখানে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও কিছু বলা হয়নি। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনাও করা হয়
উলেখ্য, চিনের বিদেশমন্ত্রক বলেছে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। চিন একে অপরের স্বার্থকে সম্মান করার ওপরেও জোর দিয়েছে। তারা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার দিকও তুলে ধরেছে। দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফেরানোর প্রশ্নে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, 'সীমান্ত অঞ্চলের ৭৫% সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এবং শীঘ্রই সম্পূর্ণ সমাধান আশা করা হচ্ছে। এই বৈঠক ভারত-চিন ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।'