এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোনও চিকিৎসা নেই। মশাবাহিত এই রোগের চিকিৎসা মূলত হয় উপসর্গভিত্তিক। সিরাম ইনস্টিটিউট ডেঙ্গুর ভাইরাসকে নিউট্রালাইজ করার জন্য মোণোক্লোণাল অ্যান্টিবডি আনতে চলেছে এই সংস্থা। প্রথম দুটি পর্বে সাফল্য মেলার পর তৃতীয় ও শেষ পর্যায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে দেশে।
উলেখ্য, বাংলার একমাত্র চিকিৎসা প্রতিস্থান হিসেবে আগামী মাসে সেই ট্রায়ালে অংশগ্রহন করবে NRS হাস্পাতাল। সিভিয়ার ডেঙ্গুকেও হারিয়ে বহু মৃত্যু এড়ানো যাবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকরা। প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চলতি বছরে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বছরের শেষে ৩৫ হাজার ছুঁয়ে ফেলবে বলেই আসা করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বাংলায় মোট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৬৭,২৭১। গত বছর, ২০২৩ সালে ১ লক্ষ্য পার করে গিয়েছিল। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবছর। বরাবর মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, মালদা, জলপাইগুড়ি, এছারাও বেশকিছু জেলা। সিরামের তৈরি 'ডেঙ্গু শিল্ড' নামে মোণোক্লোণাল অ্যান্টিবডি তৃতীয় ট্রায়ালে উতরে গিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে বলে মনে করছে চিকিৎসকরা।
দ্বিতীয় সুচিত্রা সেন! ছবি দেখে থমকে গেল নেটিজেনরা
সুত্রের খবর অনুযায়ী, সারা দেশে ২০টি ট্রায়াল সেন্টারে ৫-১৪ বছরের বেশি বয়সের শিশু এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সের প্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ৬০০ জনকে এই তৃতীয় ট্রায়াল অংশগ্রহন করানো যাবে। জ্বর আসার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের উপর এই ডেঙ্গু মোণোক্লোণাল অ্যান্টিবডি থেরাপি ব্যাবহার করা হবে।