২০২১ সালের নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন। গরিব দরিদ্র মহিলাদের জন্য এই প্রকল্প চালু করার উৎস। রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। বর্তমানে বহু শ্রেণির মহিলারা এই সুবিধা ভোগ করছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সুপারহিট প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসের আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয় বাংলার মহিলাদের ঘরে ঘরে। প্রতি মাসের শুরুতেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় এই টাকা। প্রতি মাসের মতোই এইমাসেও উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। জানা গেছে, মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ ২ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে এই টাকা প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দাওয়া হয়।
কবে থেকে বদলে যাচ্ছে জমি কেনার ব্যাবস্থা
উলেখ্য,২০২১ যখন লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পটি চালু করা হয় তখন মাসে ২৫০০ টাকা করে পেতেন রাজ্যের মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে যে সকল উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা থাকবে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের পেতে গেলে উপভোক্তাদের এবং আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করিয়ে নিতে হবে। আবেদনকারীর আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জেরক্স জমা করতে হয়। সেই সঙ্গেই আবেদনকারী মহিলা যদি তফশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের হয়, তাহলে সেই শংসাপত্রও জমা করতে হয়। এছাড়া ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের পাসবইয়ের প্রথম পাতার ছবি ও রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবিও জমা করতে হবে।