আজ বুদ্ধপূর্ণিমা। এই শুভ দিনটি হল বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন। বুদ্ধপূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মের অনুরাগীরা উত্সব ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় বেশ কিছু বৌদ্ধ মনেস্ট্রি রয়েছে, যেখানে বেড়াতে যাওয়া মন্দ কিছু নয়।
*দালি মনেস্ট্রি:* ঘুম ও দার্জিলিংয়ের মাঝে রয়েছে দালি মনেস্ট্রি। ৭,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গুম্ফা। ১৯৭১ সালে কিবজে থুকসে রিম্পোচে এই গুম্ফা তৈরি করেছিলেন। দ্রুকচেনের ২১০ জন তিব্বতী বৌদ্ধ এই দালি গুম্ফাতে থাকেন। শৈলশহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই মনেস্ট্রি। এবার ঘুম বেড়াতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন এই মনেস্ট্রি থেকে।
*ঘুম মনেস্ট্রি:* শৈলশহর ঘুমের কাছে রয়েছে আরও এক মনেস্ট্রি। জায়গার নাম অনুযায়ী গুম্ফার নাম। ঘুম মনেস্ট্রি। যদিও এই মঠের আসল নাম ইগা চেওলিং মনেস্ট্রি। এটাও ৭,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। দার্জিলিং শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই গুম্ফা। এই মনেস্ট্রির ভিতর একটি ১৫ ফুট লম্বা মৈত্রেয় বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে। ১৮৭৫ সালে লামা শেরাব গ্যাতসো এই গুম্ফা স্থাপন করেছিলেন। এটাই দার্জিলিং শহরের সবচেয়ে বড় মনেস্ট্রি। তাই শৈলশহরে গেলে এটা মিস করা চলবে না।
*বোকার মনেস্ট্রি:* মিরিকের অবস্থিত এই মনেস্ট্রি। ৫,৮০০ ফুট উচ্চতায় চৈনিক স্থাপত্য শিল্পের অনুকরণে তৈরি গুম্ফা। যদিও এখানে প্রধান দেবতা ভেঙেরবল কাবজে বোকার রিপনছে। ১৯৮৪ সালে তৈরি করা হয় এই গুম্ফা। মিরিক লেক থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রি। মিরিকের উপর দার্জিলিং বা কালিম্পং যাওয়ার পথে ঘুরে নিতে পারেন এই মঠ।
*তামাং মনেস্ট্রি:* এই মনেস্ট্রিও মিরিকে অবস্থিত। তবে, এই বৌদ্ধ মঠের শিল্পকর্ম নজরকাড়া। তাছাড়া এই মনেস্ট্রি থেকে দেখা যায় শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। মিরিকের সুমেন্দু হ্রদের পাশেই অবস্থিত এই তামাং মনেস্ট্রি। বৌদ্ধ ধর্মের অনুরাগী এবং পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই গুম্ফা। তাই আপনিও বেড়াতে গেলে এই মনেস্ট্রিকে বাদ দেবেন না।