#Pravati Sangbad Digital Desk:
গতকাল, রবিবার ছিল ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৩ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। যথেষ্ট টানটান উত্তেজনা আর উল্লাসের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। দর্শকদের ভোটিং ও বিচারকদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্বাচন করা হয়। ইন্ডিয়ান আইডল এর এই সিজনটি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর।দেখতে দেখতে প্রায় সাতটা মাস পার করে দিয়েছে এই শো। অন্যান্য বারের মত এই সিজনটি ও খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এই সিজনে বিচারকের আসনে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী হিমেশ রশমিয়া, নেহা কক্কর ও বিশাল দাদলানি। শোটি পরিচালনা করেছিলেন উদিত নারায়ণের পুত্র আদিত্য নারায়ণ। জনপ্রিয় এই গানের শোটি নিয়ে সঙ্গীত প্রিয় মানুষদের প্রবল উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। শেষ ম্যাচে কে গোল দেয় এটা দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে ছিলেন লক্ষ্য লক্ষ্য দর্শক। এইবারের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ৬ জন প্রতিযোগীর মধ্যে। এই ছয় জন হলেন ঋষি সিং, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, দেবস্মিতা রয়, সোনাক্ষী কর, চিরাগ কোতওয়াল ও শিবম সিং। ফাইনালে উঠেছিল তিন বঙ্গকন্যা। তাই বাংলার দর্শকরা বাংলাতেই ট্রফি আসার আশা করেছিলেন। বাঙালি দর্শকদের তাই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
তবে ফাইনাল অনুষ্ঠানে তিন বঙ্গকন্যাকে বাজিমাত করে সেরার তকমা অর্জন করেন অযোধ্যার ভূমিপুত্র ঋষি সিং। দ্বিতীয় হন বাংলার মেয়ে দেবস্মিতা রায়। তৃতীয় হন চিরাগ কোতওয়াল। অযোধ্যার ছেলে ঋষি তার গানের মাধ্যমে প্রথম থেকেই দর্শকদের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছিলেন। এমন কি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি ঋষিকে মেসেজ করে জানান ঋষির গান তার খুব পছন্দের। বিরাট কোহলি ঋষিকে ফলোও করেন সমাজ মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান আইডল এ আসা নানান অতিথিরাও ঋষির গানের সুনাম করেছেন। প্রথম পুরস্কার হিসেবে এই দিন ঋষির হতে তুলে দেওয়া হয় একটি সোনালী রঙের ট্রফি। ২৫ লক্ষ টাকা প্রাইজ মানিও দেওয়া হয় ঋষিকে ও সাথে একটি গাড়ি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেবস্মিতা পায় ১৫ লক্ষ টাকা। ঋষি এইদিন বলেন, "আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে ট্রফিটা জিতেছি। এই অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বিজয়ী হিসাবে যখন আমার নাম ঘোষণা করা হল মনে হল আমার এতদিনের স্বপ্ন পূরণ হল। এই ধরণের ঐতিহ্যপূর্ণ ও জনপ্রিয় শোয়ে অংশ নিতে পেরেই আমি ধন্য।" তবে এতে কিছুটা হলেও মন ভেঙেছে বাঙালি দর্শকদের। জয়ের এত কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হলো বঙ্গকন্যাদের। আগের সিজনেও বনগা এর মেয়ে অরুনিতা কাঞ্জিলাল দ্বিতীয় হয়ে ফিরেছিলেন। সেই নিয়ে অনেকেই সমাজমধ্যনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেউ বলেছেন,"জানতাম বাঙালিদের জেতাবে না।" কেউ বলেন,"আগে থেকে জানতাম ঋষিই জিতবে। এসব নামেই রিয়ালিটি শো। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক থাকে।"আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন,"ঋষি ভালো গান গায়। তবে শো এর প্রথম থেকেই ওকে হাইলাইট করা হয়েছে। শো এর টি আর পি বাড়ানোর জন্য এখন যে সমস্ত নাটক করা হয় সেগুলি বন্ধ করা দরকার।"