অ্যালকোহলিক কার্ডিওমায়োপ্যাথির ঝুঁকি কমাতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বর্তমান যুগে কোনো শুভ মুহূর্তের উজ্জাপনের জন্য অনেকেই পার্টির আয়োজন করে। কর্মক্ষেত্রে পার্টির পরিবেশ বেশি লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ পার্টিতেই মদ্যপানের ব্যাবস্থা থাকে। আবার অনেকের অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে মদ্যপান করা। কিন্তু এই অভ্যাস বা ভালো মুহূর্ত উজ্জাপণের জন্য মদ্যপান ক্ষতিকর। বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. প্রদীপ কুমার ডি জানান , অ্যালকোহলিক কার্ডিওমায়োপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ে মদ্যপানের ফলে।
কিন্তু অনেকের কাছেই অজানা অ্যালকোহলিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি। বেশিরভাগ মানুষ এর সম্পর্কে খুব একটা অবগত নন। জেনে নেওয়া যাক অ্যালকোহলিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি কি -
অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে হৃদযন্ত্রের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে হার্ট সঠিক ভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে না। কিন্তু এই সমস্যার চিকিৎসা না হলে হৃদযন্ত্র অকেজো হয়ে যেতে পারে। অনেক্ষণ ধরে মদ্যপান করলে কার্ডিওমায়োপ্যাথি শুরু হয়। এর ফলে হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দেয়। মহিলাদের থেকে পুরুষদের ও ৩৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি থাকে। এই রোগের বিভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।  -
১. পা, পায়ের পাতা ও গোড়ালি ফুলে ওঠে।
২. প্রস্রাবের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়।
৩. বেশিক্ষণ সময় ধরে খিদে পায়না।
৪. যে কোনো বিষয়ে মনোযোগে সমস্যা দেখা দেয়।
৫. শরীর দুর্বল হয়ে যায় , মাথা ঘোরে , এমনকি জ্ঞান হারাতেও পারে।
৬. পালস দ্রুত ওঠা নামা করে।
৭. কাশির প্রবণতা দেখা দেয়। শোওয়ার সময় কাশি হলে গোলাপি মিউকাস নিঃসরণ হয়।
৮. বুকে ব্যথা ওঠে।

এই রোগের বিভিন্ন কারণ :
১. জিনগত।
২. দ্রুত হৃদস্পন্দন।
৩. হার্টের ভালভে সমস্যা সৃষ্টি।
৪. অতিরিক্ত মদ্যপানের ফল।
৬. ওবেসিটি, থাইরয়েড ও অন্যান্য সমস্যা।
৭. প্রেগনেন্সিতে বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি।
তবে এই রোগ নিরাময়ের বিশেষ উপায় রয়েছে :
১. বুকের এক্স-রের মাধ্যমে।
২. কার্ডিয়াক এমআরআই ও হার্টে ব্লকেজ ও অন্যান্য সমস্যা নজরে আসার জন্য দরকার ইকোকার্ডিওগ্রামের।
৩. ট্রেডমিল স্ট্রেস টেস্টের প্রয়োজনীয়তা।
৪. কার্ডিয়াক ক্যাথিটারাইজেশন।
৫. সিটি স্ক্যান।
৬.  রক্ত পরীক্ষা
প্রথমে ওষুধ দিয়ে হৃদযন্ত্রের ব্যাবহার ঠিক করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু এতে কোনো কাজ না হলে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। রেস্ট্রিকটিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে রক্তচাপ কমানোর ওষুধ দেন চিকিৎসকেরা।কার্ডিওমায়োপ্যাথির ক্ষেত্রে হার্ট প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করা বন্ধ করলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও সোডিয়াম খাওয়ার অভ্যেস কমাতে হবে। এমনকি হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। নিয়মিত শরীরচর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ এই সময়। চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রসেসড ফুড , ধূমপান বন্ধ করতে হবে। বহু পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে মাঝেমধ্যে অল্প মদ্যপান হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু তা সত্বেও মদ্যপান এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এতে হার্টের রোগের ঝুঁকি কম থাকে। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Papri Chakraborty

Tags:

Related News