Flash News
Monday, September 22, 2025

জলপাইগুড়িতে মায়ের মৃতদেহ বহনে সরব রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী

banner

journalist Name : Aparna Dutta

#Pravati Sangbad digital Desk:

বুধবার ক্রান্তির বাসিন্দা লক্ষ্মী রানি দেওয়ান শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ইউনিটে ভর্তি করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ওইদিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা রাজ্য। এম্বুলেন্স ভাড়া না দিতে পারায় মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে হেঁটে চলেছে তার পরিবার। 

জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা গ্রামের ৭২ বছরের লক্ষী রানী দাওয়াত এর চিকিৎসা চলছিলো জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, বুধবার রাতে মৃত্যু হয় লক্ষীদেবীর, সকালে মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে শববাহী গাড়ির চালকরা আকাশ ছোঁয়া দর হেকে বসে। তিন হাজার টাকা চাওয়া হয় ওই পরিবারের থেকে।মায়ের চিকিৎসা করার পর নিঃস্ব ছেলে রামপ্রসাদ দাওয়াত, আকাশ থেকে পড়েন সববাহী গাড়ির খরচ জেনে। অবশেষে নিজে এবং এক নিকট আত্মীয়ের কাঁধে তুলে নেন মৃত মায়েরদেহ, হাঁটতে থাকেন ক্রান্তির রাজাডাঙ্গার উদ্দেশ্যে।লোক মারফত খবর পেয়েই দ্রুত ছুটে যায় গ্রীন জলপাইগুড়ি নামের স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের কর্মীরা, অবশেষে তাঁদের শববাহী গাড়িতে করে মায়ের মোরো দেহ গ্রামে নিয়ে যেতে সমর্থ হন এই দাওয়াত পরিবার।

এ হেন অমানবিক দৃশ্য চোখে আঙুল তুলে প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে হচ্ছেটা কি রাজ্য জুড়ে। তবে কি দালাল রাজত্বে ভরে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই বিষয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীও। এ প্রসঙ্গে পরিবহন মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন হাসপাতলে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সরকার সেই ভাড়া নির্ধারন করে না। তবে তারা ভাড়া সঠিকই নেয়। জলপাইগুড়ির ঘটনা তিনি শুনেছেন। ওখানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্স আছে। ওদের যে, ভাড়াটা গরীব পরিবারের দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। সেই পরিবারের উচিত ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা। 

মৃতদেহ পরিবার থেকে জানা যায়, মৃতদেহ ক্রান্তিতে তাঁদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মৃতার ছেলে রামপ্রসাদ দেওয়ান। ক্রান্তিতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। কিন্তু পরিবারের কারোর সাধ্য না থাকায় মহিলার দেহ তাঁর স্বামী ও ছেলে কাঁধে করে বহন করেন। যদিও পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই ঘটনাতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য প্রশাসনে। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হল পাঁচ সদস্যের কমিটি। তদন্ত করে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরকে রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি। এমনকি আর কোনও শববাহী গাড়ি যাতে এভাবে টাকা না চাইতে পারে সেদিকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

প্রশাসন রাজ্য স্বাস্থ্য
Related News