লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, কড়াকড়ির পথে অনেক রাজ্য

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এখন আর চখ রাঙানি নয় রিতিমত হামলে পরেছে অমিক্রন। ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল ডিসেম্বরের গড়ার দিকে বেঙ্গালুরুতে, আর ডিসেম্বর শেষ হতে না হতেই ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০০ ছুইছুই, তার মধ্যে ৪০০ কাছাকাছি মানুষ ইতিমধ্যেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ওমিক্রনেরে প্রথম হদিশ মেলে দক্ষিন আফ্রিকাই, ইতিমধ্যেই তা বিশ্বের প্রায় ৭০ এর বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আনবে ওমিক্রন, তাদের কথা যে সত্যি হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু ওমিক্রনের কথা জানানোর পরেই কেন্দ্রীয় সরকার নড়ে চড়ে বসেছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
হু এর বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিল ওমিক্রন মুলত কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াই কারন বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখনও ১৮ নিচে বয়সীদের করোনা টীকা দেওয়া হয়নি, তবে তারা জানিয়েছিলেন আগের ডেল্টা প্রজাতির মতো ওমিক্রন প্রানঘাতি নয়, অনেকের মধ্যে কন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। বিজ্ঞানীদের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন অনেকে, ফলে তারা কোভিড বিধি মানতে নারাজ। অন্যদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৫শে ডিসেম্বর রাতে ঘোষণা করেন ৩শরা জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টীকা দেওয়া হবে, এবং যারা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা বা অন্যান্য আপাৎকালিন কাজের সাথে যুক্ত জাদের করোনার টীকা নেওয়া ইতিমধ্যেই ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়া যেই সব ষাটোর্ধ ব্যাক্তিদের কোমর্বিডিটি আছে তাদেরও তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে, তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাদের চিকিৎসকের শংসা পত্র দেখাতে হবে।

ওমিক্রনের বারবারন্তের কথা মাথাই রেখেই ইতিমধ্যেই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার, তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, কর্ণাটক মধ্যপ্রদেশ সরকার। বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ পাওয়ার সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি করেছিলেন, তবে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধি নিষেধে ছাড়ও দিয়েছেন তিনি। তবে ২৫শে ডিসেম্বর রাতে বড়সড় জমায়েত এড়াতে কড়াকড়ি শুরু করেছিল কর্ণাটক সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা হয়েছিল দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কাল সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন দিল্লি মেট্রো ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে, তাছাড়া থাকছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ।

দিল্লির মতো মহারাষ্ট্র সরকার, কর্ণাটক সরকার রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জমায়েতেও, এছাড়া ৫ জনের বেশি কেউ একসাথে দাড়াতে পারবেন না। কাল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিন ২৪ পরগণার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কার্যত আংশিক লকডাউনের কথা জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ৩শরা জানুয়ারি থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কন্টেনমেন্ট জোন চালু করার হবে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে বন্ধ রাখা হবে স্কুল কলেজও। এছাড়া দরকার হলে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি। বাকি রাজ্যগুলির মতো এরাজ্যেও আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণেও বিশেষ নজর রাখা হবে। তবে লোকাল ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ না করে কিছু কম করার কথাও জানান তিনি। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বারংবার সতর্ক করেছেন সাধারণ মানুষ যদি এখনও নিজের ভুল শুধরে না নেই তাহলে ভারতের পরিস্থিতি অনেক ভয়ানক হয়ে উঠবে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News