মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বড় ব্যবধানে জয় পেল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে ১২২ রানে জয় তুলে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২১৯ রান করেছিল ভারত। দলের দুই ওপেনার শ্বেতা সেহরাওয়াত এবং শেফালি ভার্মা করেছেন যথাক্রমে অপরাজিত ৭৪ রান এবং ৭৮ রান।
চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত প্রথম দল, যারা ২০০-র বেশি রান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল। টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অধিনায়ক তীর্থা সতীশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৯ রান তোলেন শ্বেতারা। ২২০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯৭ রানে থেমে যায় আমিরশাহি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটার ভারতের শেফালি ভার্মা। ভারতীয় ওপেনার যে কোনও বোলারের কাছেই ত্রাস, তা বার বার প্রমাণ করে চলেছেন। উদ্বোধনী মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে শেফালি ভার্মার নেতৃত্বে পর পর দুটো ম্যাচে জিতল ভারত। টসে হেরে আজ প্রথমে ব্যাট করতে হয়েছিল ভারতকে। ব্যাটিং সহায়ক বেনোনির পিচে অধিনায়ক শেফালি ভার্মা ও সহ-অধিনায়ক শ্বেতা শেরাওয়াতয়ের বিধ্বংসী জুটি কার্যত আমিরশাহির কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিল। শুরু থেকেই আমিরশাহির বোলারদের পিটিয়েছেন শ্বেতা-শেফালিরা। নবম ওভারে এসে ভারত অধিনায়ক শেফালির উইকেট তুলে নেন ইন্দুজা নন্দকুমার। ৩৪ বলে ৭৮ রান করার পথে শেফালির ব্যাট থেকে আসে ১২টি চার ও ৪টি ছয়। তিন নম্বরে নামা বাংলার রিচা ঘোষ এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। শেফালি ফিরলে প্রথমে রিচা ও পরে গোঙ্গাড়ি তৃষার সঙ্গে জুটি বাঁধেন শ্বেতা। তৃষা ১১ রান করে শেষ ওভারে উইকেট দিয়ে বসেন। তবে শেষ অবধি ক্রিজে ছিলেন শেফালির ডেপুটি। ৪৯ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে যান শ্বেতা। পরপর দুই ম্যাচে (প্রথম ম্যাচে ৯২*) অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন শ্বেতা।
শ্বেতা-শেফালির পাওয়ার হিটিংয়ের ফলে আমিরশাহির সামনে ২২০ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট ঝুলিয়ে দেয় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা তাঁদের কাজ করে যাওয়ার পর, বোলাররাও গুছিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমিরশাহির ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন শবনম। ওপেনার তীর্থা সতীশকে (১৬) ফেরান শবনম। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ভারতকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন তিতাস সান্ধু। তিনি তুলে নেন সামাইরা ধরনীধরকার (৯) উইকেট। তিতাস-মন্নত-শেফালিরা ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে থাকেন আমিরশাহির ব্যাটারদের ওপর। হাতখুলে খেলতেই পারেননি আমিরশাহির ক্রিকেটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান তোলে তীর্থা সতীশের দল। ভারতের ক্রিকেটারদের ব্যাটে যেখানে চার-ছয়ের ফুলঝুরি দেখা গিয়েছে, সেখানে আমিরশাহির ক্রিকেটাররা মাত্র ৬টি চার ও ২টি ছয় মেরেছেন। আমিরশাহির বিরুদ্ধে ১২২ রানের বড় ব্যবধানে জেতার ফলে, ২ পয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি ‘ডি’ -গ্রুপে ভারত নেট রান রেটের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে রইল।