বাংলা ব্যান্ড বেচেঁ আছে এখনো। অস্তিত্ব মুছে যায়নি বহু পুরনো বাংলা ব্যান্ডগুলির। ১৯৭৪ সালে সাত সদস্য মিলে তৈরি হয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। এই স্বাধীন ব্যান্ডের শুরুতে নাম ছিল সপ্তর্ষি। এই ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়, তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস দাস, এব্রাহাম মজুমদার, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন নিত্যনতুন গান দর্শকদের উপহার দিতো মহীনের ঘোড়াগুলি।
তবে ইতিমধ্যে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম সদস্য তাপস দাস ( বাপি )। বর্তমানে ফুসফুসের ক্যানসার তৃতীয় পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাপস দাসকে বাঁচাতে ত্রাণ তহবিল খুললেন তাঁরই সঙ্গী - সাথীরা। অর্থসাহায্যের জন্য অনুরোধ করলেন সাহানা বাজপেয়ী, অর্ক মুখোপাধ্যায় ও রূপম ইসলাম।
হাসপাতালে প্রতিদিন নিজের সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন তাপস দাস। তাঁর চিকিৎসার খরচ তোলার জন্য কালনা শহরের পথে নেমে গান গাইলেন কিছু সঙ্গীতশিল্পী। তাঁরা সকলকে অনুরোধ করলেন তাপস বাপি দাসের চিকিৎসার জন্য কিছুটা সাহায্য করতে।
বেশ কিছুদিন ধরেই কালনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিটার বাজিয়ে গান করতে শোনা যাচ্ছে বহু মানুষদের। তাঁদের গিটারের সামনের খোলা কভারের ভিতর পথ চলতি মানুষেরা নিজেদের সামর্থ্য মতো টাকা দিচ্ছেন।
শীতের রাতে কালনার গলিতে গলিতে মহীনের ঘোড়াগুলির গানে ভরে উঠছে মানুষের সমাগম। উদ্দেশ্য একটাই, সকলের প্রিয় তাপস দাসকে সুস্থ করে তোলা। সংগ্রহ করা অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে তাপস দাসের চিকিৎসার জন্য তাঁর বাড়িতে।
এবছরের শুরুতেই জানা যায় , ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি চলছে তাঁর। ঠিক ভাবে খেতে পারছেন না তিনি। রেডিয়েশন নেওয়ার মতো শারীরিক ক্ষমতা নেই তাঁর। ওজন ৩৫ কিলোয় নেমে এসেছে।
হাসপাতালের বিল, ওষুধ, কেমোর খরচ তুলতে অনেক আগেই অনলাইনে আবেদন করেছেন বহু বিশিষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সেই বার্তা।