অনেকের মুখেই মারাত্মক এই সমস্যার কথা শোনা যায়। ঘুমের মধ্যে পেশিতে টান ধরার পর দীর্ঘ সময় অবধি থেকে যায় পেশিতে ব্যথা। এমন অবস্থায় পা সোজা করা বা ভাঁজ করা অবধি অসম্ভব হয়ে পরে। শীতকালের অন্যতম ও মারাত্মক এক সমস্যা হল মাশাল ক্রাম্প। অনেক সময় ঘুমের মধ্যেই মারাত্মক টান পড়ে পেশির। জেগে থাকা অবস্থাতেও হতে পারে এই ম্যাসল ক্রাম্প তবে ঘুমের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শুধু শীতেই নয় যে কোনও সময় হতে পারে এই সমস্যা।আদতে এই পেশীতে টান ধরা বা মাশাল ক্রাম্পের নেপথ্যে কারণ ও প্রতিরোধের উপায় জেনে নিন ।
কেন হয় ?
•শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতি থাকলে।
•জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। খুব ঠান্ডা আবহাওয়া।
•অতিরিক্ত ব্যায়াম, পরিশ্রম বা পায়ের পেশির বেশি ব্যবহার।
•গর্ভকালীন, বিশেষ করে শেষের দিকে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে রগে টান পড়ে।
•বেশি সময় বসে থাকা, শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা, ঘুমের সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণে এমন হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায় কী?
পটাশিয়ামযুক্ত খাবার পেশিতে টান কমাতে সাহায্য করতে পারে। পটাশিয়াম পেশি ও স্নায়ুর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া কখনও কখনও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও সুফল দেয়। আসলে প্রোটিন পেশি ও টিস্যুর সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে।
সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে ডাবের জল বা লেবু-জলও খেতে পারেন।
শীতকালে শিম ও মটরশুঁটি আপনার শরীরে প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান বাড়াবে। এছাড়া কালো বীন খেতে পারেন। এতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে ভালরকম। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অনেক সময় মেয়েদের মাসিকের সময় মাসল ক্র্যাম্পের হাত থেকে বাঁচায়।
পটাশিয়ামের সেরা উত্স হল কলা। পটাশিয়াম কার্বন ভাঙতে ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। তাই কলা এক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
কলার পাশাপাশি মিষ্টি আলু খেতে পারলেও ভাল। রাঙা আলু পটাশিয়ামের ভাল উৎস । এছাড়া এতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। সাধারণ আলু ও কুমড়ো আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের জোগান দেবে। তা ছাড়া যে কোনও ধরণের আলু শরীরে জল সরবরাহে সাহায্য করে। ফলে শরীর হাইড্রেট রাখতে মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার।