ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পন্ন হলো কাতারে। একের পর এক গোল দিয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছেছিলো নীল - সাদার দল। অবশেষে ফ্রান্সকে পরাজয় করে কাতারের মাটিতে উড়লো আর্জেন্টিনার পতাকা। অনেকের মতে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে একটি সেরা ফুটবল ম্যাচ দেখেলো সাড়া বিশ্ব।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা - ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচটি একটি সেরা বিশ্বকাপ ম্যাচ তা সকলেই মানবেন। ফাইনাল ম্যাচটি কিছুতেই ভুলতে পারছেননা ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথমদিকে ২ - ২ গোল ছিলো। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে আর্জেন্টিনা ৩-২ এ এসে দাঁড়ায়। তবে সেই গোল ধরে রাখা যায়নি। এমবাপে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩ - ৩ এ পৌঁছে দেন নিজের দলকে। এরপরই টাইব্রেকারে খেলা পুরোপুরি নিজের দিকে টেনে নেন মেসি। ।
৩৬ বছর পর ফের বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে ফাইনালের হার মেনে নিতে পারছে না ফ্রান্স। ফ্রান্সের দাবি , ওই ম্যাচে মেসির দ্বিতীয় গোলের সময়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে দুজন বেশি প্লেয়ার মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা ইকুঁয়েপ রেফারি মার্সিনিয়াক-এর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই ২ লাখেরও বেশি ফরাসির সই নিয়ে পিটিশন জমা হয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনাল রি-ম্যাচের জন্য।
রেফারি মার্সিনিয়াক পোল্যান্ডে ফিরে একটু সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেই সম্মেলনে তিনি একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করেন , ফাইনালে এমবাপের করা গোল অবৈধ ছিল। তবে রেফারি মার্সিনিয়াক ওই ম্যাচে এমবাপের করা কোন গোলটির কথা বলেছেন তা এখনো স্পষ্ট জানা যায়নি। মার্সিনিয়াক বিশেষ দক্ষতার সাথে ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন। তবে সকলেই বেশ খুশি আর্জেন্টিনার জয়লাভে। রাস্তায় রাস্তায় উড়তে দেখা যাচ্ছে নীল - সাদার পতাকা , সাথে রয়েছে মেসির ছবি। বাজি ফাটিয়ে নীল - সাদা দলের জয়কে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সকলে।