#Pravati Sangbad Digital Desk:
বেশ কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। উত্তরবঙ্গের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডার প্রকোপ। প্রায় জবুথবু অবস্থা রাজ্যবাসীর। প্রবল শৈত্য প্রবাহের জন্য বেশ কনকনে শীত উপভোগ করেছে বঙ্গবাসী। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের মতে বড়দিনে দুর্বল হতে পারে উত্তর-পশ্চিমে ঠান্ডার প্রকোপ। কাবু হয়ে যাওয়া ঠান্ডায় বাঁধ সাধবে উত্তরে বাতাস। আগের মত প্রবণতা হারিয়ে ফেলছে উত্তুরে বাতাস এমনটিই জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। গত কয়েকদিন ধরে গাঙ্গেয় বঙ্গে যে প্রবল ঠান্ডা ছিল তার কারণ উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রবল শৈত্য প্রবাহ এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মূলত উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকেই কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়ে এসেছিল বাংলাতে। যার দরুন প্রবল ঠান্ডা পরে এবং পারদ নিচে নামতে থাকে। তবে এই সপ্তাহ থেকে রাতের দিকে পারদ চড়বে অনেকটাই কারণ সেই উত্তর-পশ্চিমে হাওয়ার দাপট।
আবহাওয়াবিদদের মতে চলতি সপ্তাহেই পারদ রাতের দিকে বেশ ভালই উঠবে স্বাভাবিকের থেকে ওপরে উঠে যেতে পারে। মঙ্গলবার এর রিপোর্ট অনুযায়ী আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা গেছে বড়দিনে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে আশে পাশে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব কমতে থাকে তিন চার দিনের মধ্যেই তিন চার দিনের মধ্যেই উত্তর পশ্চিম ভারতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বেড়ে যাবে।
পূর্ব ভারতেও ২ থেকে ৩ ডিগ্রী বাড়তে পারে তাপমাত্রা এমনটাই বলেছে আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবারেও বেশ ভালই শীতের দাপট চলেছে গোটা বাংলা জুরে। উৎসবের মরসুমে কেমন ঠান্ডা সেই নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। প্রতিবছরই বড়দিনে বেশ ভালোই ঠান্ডা উপভোগ করে বঙ্গবাসীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের শৈত্যপ্রবাহ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দার্জিলিং কালিম্পং এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পাঁচ ও আট ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে উত্তরবঙ্গকে প্রায় ছয় ফেলেছে শ্রীনিকেতন। ৭ ডিগ্রির আশেপাশে তাপমাত্রা ছিল শ্রীনিকেতনে। এদিকে পুরুলিয়াতে ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫।
তবে আবহাওয়াবিদদের কথা অনুযায়ী আগের থেকে শ্রীনিকেতন পানাগর বর্তমানে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা বেড়েছে। কলকাতাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রী যা বলতে গেলে স্বাভাবিকের থেকে কম। বড়দিনে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে শহর। নগরবাসী ক্রিসমাস ইভ বরাবরই কাটায় খুব ভালোভাবে। প্রভুর ঠান্ডায় জবুথবু ছিল গোটা বঙ্গবাসী তবে বড়দিনে পারদ কিছুটা উঠতে পারে বলে আশ্বাস। চলতি সপ্তাহে পরছে বড়দিন এবং তার সাথেই কমবে শৈত্যপ্রবাহের ধার এমনটাই আশা করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sagarika Chakraborty