#Pravati Sangbad Digital Desk:
সুস্থ শরীর পেতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া যে খুব দরকারি, তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু প্রতিদিন ঠিক কতটা জল খাওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। যেমন কম জল খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে, তেমন অতিরিক্ত জলপানেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই সঠিক পরিমাণ মেনে জল খান।
কিন্তু ঠিক কতটা জল খাওয়া দরকার? কেউ বলেন দিনে ৮ গ্লাস জল খান তো কেউ বলেন দিনে ২ লিটার জল যথেষ্ট। জানেন কি, আমাদের প্রত্যেকের শরীরে জলের চাহিদা সমান নয়? শরীরের গড়ন এবং আমরা কে কতটা কাজ করি, কী ধরনের খাবার খাই, তার উপর নির্ভর করে শরীরে জলের চাহিদা। আপনি প্রতিদিন কতটা জল খাবেন, তা ঠিক করতে রয়েছে একটা সহজ ফর্মুলা।
দিনে সাত থেকে আট গ্লাসের কম জল খেলে যে সমস্যা হতে পারে তা এবার জেনে নিন..
১. কম জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়া খাবার ঠিক মতো হজম হতেও অসুবিধা হয়। খাবার খেলে তা ক্ষুদ্রান্ত্রে শোষিত হয়, বাকি বর্জ্য পদার্থ কোলনে চলে গিয়ে মল হয়ে বাইরে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়াটির সময় শরীরে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টস ও জলীয় অংশ শোষিত হয়। কম জল খেলে মল হয়ে উঠবে কঠিন। মলত্যাগ করা কষ্টকর হবে। ক্রমশ অর্শ, অ্যানাল ফিশার সহ মলদ্বারের নানা রোগের সম্ভাবনা বাড়বে।
২. শরীরে কম জল থাকায় বিপাকীয় ক্রিয়ায় তৈরি কিছু অপ্রয়োজনীয় ও বিষাক্ত পদার্থ জমে গিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. রক্ত সংবহনের জন্যে ৩৫ শতাংশ জলীয় পদার্থ দরকার হয়। জল কম খেলে শরীরের মোট রক্তের আয়তন অর্থাত্ ব্লাড ভলিউম কমে যায়। ফলে রক্তচাপ নেমে যেতে পারে। কম রক্তচাপ থাকলে মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছতে অসুবিধা হয়। এই কারণে সারাদিনই ক্লান্ত লাগে, ঘুম পায়, বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসে না, বড়দেরও কাজ করতে আলসে ভাব দেখা দেয়।
৪. শরীরে জল কম থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। একইসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করার জন্য মূত্রনালীতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।
৫. কম জল খেলে কিডনিতে রেচন পদার্থ জমে গিয়ে কিডনির কাজ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৬. কোনও কাজে মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হতে পারে।
তাহলে কী পরিমাণ জল খাবেন?
গরম কালে আট থেকে বারো গ্লাস জল পান করা উচিত। তবে যদি কিডনি বা হার্টের অসুখ থাকে তখন জল খাওয়ার ব্যাপারে কিছু বিধি নিষেধ থাকে। যারা রোদে ঘোরাঘুরি করেন বা অনেক বেশি পরিশ্রম করেন তাদের চাহিদা অনুযায়ীই জল খেতে হবে। যাদের কম তৃষ্ণা, ছোট থেকেই কম জল পান করায় অভ্যস্ত তাদের অবশ্যই ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পানের অভ্যাস করতে হবে।
নচেত্ বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খেলে পেটের ভেতরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। সারাদিন জল খেলেও সন্ধ্যার পর থেকে কম জল খাওয়া উচিত। বেশি বয়সের পুরুষদের প্রস্টেটের অসুখ থাকলে সন্ধ্যার পর জল পান কমিয়ে না দিলে রাতে ঘুম হবে না।
বেশি জল খাওয়াও ভাল নয়
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sampriti Gole