পশু পাচার যেনো দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এবার বেঙ্গল সাফারি পার্কে মৃত্যু হল এক অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারুর। গত ৩১ই মার্চ রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া নেপালি বস্তি ও গজলডোবার রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি ক্যাঙ্গারু। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি হয়ে অন্য কোথাও পাচারের আগেই উদ্ধার করা হয় তাদের। তবে ঘটনাস্থলেই এক ক্যাঙ্গারুর মৃত্যু হয়। বন দফতর সূত্রের খবর ,তাপমাত্রার জন্য ক্যাঙ্গারুর মৃত্যু হয়।
বাকি দুটি ক্যাঙ্গারু নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে। ক্যাঙ্গারু দুটিকে বিশেষ এনক্লোজারে রাখা হয়েছিল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। নজরদারির জন্যে বন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়। কিন্ত ৫ ই ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার রাতে মৃত্যু হয় অ্যালেক্সা নামে আরো একটি ক্যাঙ্গারুর। জেভিয়ার নামে অন্য ক্যাঙারুটিও অসুস্থ বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
বন দফতর সূত্রের খবর, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে ক্যাঙারুটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে মৃত ক্যাঙারুটির ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়না তদন্তের পরই জানা যায় মৃত্যুর আসল করণ। বিশেষ সূত্রের খবর মাশরুম খাওয়াতেই বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় অ্যালেক্সার। তবে এখনো পর্যন্ত সাফারি পার্কের ডিরেক্টর এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর টেলিফোনে ক্যাঙ্গারুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি সাফারি পার্কে এসে আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন , 'এখানকার তাপমাত্রা ক্যাঙ্গারুদের পক্ষে অসহনীয়। সে কারণেও মৃত্যু হতে পারে। অ্যালেক্সার মৃত্যুর পর জেভিয়ারের উপরে নজরদারি বাড়িয়েছে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। আপাতত পর্যটকদের জন্যে কাঙ্গারু সাফারি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ '। অ্যালেক্সার মৃত্যু নিয়েও চলছে বেশ শোরগোল। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরই কী পদক্ষেপ নেয় বন দফতর, তা এবার দেখার বিষয়।