চুল একটুও রুক্ষ হয়ে গেলে কিংবা চুল বেশি পড়লেই তেলের বোতলেই যেন সকল সমাধান পাওয়া যাবে। বিষয়টি কিন্তু আসলে একবারে সঠিক। সুস্থ সুন্দর চুলের জন্য তেল ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক দূষণ, কেমিক্যালজাত পণ্যের ব্যবহার, অযত্ন ও অপুষ্টিজনিত হাজারো কারণে চুলের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকির সমস্যা, চুলের আগা ফাটার মতো চুলের প্রধান সমস্যাগুলোর অধিকাংশই দূর করা সম্ভব হয় নিয়মিত তেলের ব্যবহারে। চুলের সঠিক পুষ্টি প্রদানের জন্য তেল একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে অনেকেই চুলে তেল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন না, যার কারণে তারা সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে পারেন না। এই কারণেই আজকের পোস্টে আমরা চুলে কখন তেল ব্যবহার করতে হবে এবং কীভাবে করতে হবে এই দুটি সম্পর্কেই তথ্য নিয়ে এসেছি। এর সাথে, আপনি এখানে তেল প্রয়োগের সময় যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন।অনেকেই তেল ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেন। তেলের ব্যবহার ব্যতীত চুলে অন্যান্য যত প্রকারের যত্ন নেওয়া হোক না কেন, চুল তার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। ফলে তেলের ব্যবহার ব্যতীত পরিপূর্ণ হেয়ার কেয়ারে ঘাটতি থেকেই যায়। চুলে তেল ব্যবহার করলে তা আপনার মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং একই সাথে চুলের গোড়া মজবুত করে। তাই, সপ্তাহে একবার তেল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মনে রাখবেন যে চুলের জন্য একই তেল ব্যবহার করুন, যা আপনার মাথার ত্বকের জন্য উপযুক্ত। চুলের বৃদ্ধির জন্য তেল প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জার্নাল অফ কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ অনুসারে, যদি নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করা হয়, তবে এটি চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে। অনেকেই বলেন, প্রতিদিন চুলে তেল দিলে বুড়ো বয়সের আগে চুল পাকা প্রতিরোধ হয়, অর্থাৎ অকালে চুল পাকা রোধ হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রতিদিন তেল দেওয়া চুলকে করে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর। নিয়মিত হেয়ার স্পা করা চুলের শুষ্কতা কমায় আর নিয়মিত চুলে তেল দিলে চুল পুষ্টি পায়। যদি আপনার চুল খুব শুষ্ক হয়, চুলে তেল মাখুন। একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভেজান, এরপর তোয়ালে থেকে পানি ঝরিয়ে চুলে পেঁচিয়ে নিন। এতে তেল ভালো ভাবে স্কাল্পে প্রবেশ করবে, শুষ্কতা কমবে। চুল মসৃণ করার একটি বড় উপায় হলো চুলে প্রতিদিন তেল দেওয়া। চুলে তেল দিলে তা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। এতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে হয়।