আজব নেশায় জীবনটাই চলে যাওয়ার জোগাড় তরতাজা যুবকের! মালগাড়ির উপরে উঠে সেলফি তুলতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট বছর উনিশের যুবক। গোটা শরীরটাই প্রায় ঝলসে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই যুবক।
মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রাজগ্রাম স্টেশনে।
মারণ নেশা! বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে বীরভূমের রাজগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল এক মালগাড়ি। সেলফি তুলতে দাঁড়িয়ে থাকা ওই মালগাড়ির ছাদে চেপে বসেছিলেন এক যুবক। মালগাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে বন্ধুকে দেখিয়ে দেখিয়ে সেলফি তোলায় মত্ত ছিলেন বছর উনিশের টুয়েল খান। মুহূর্তের অসতর্কতায় তাঁর হাত গিয়ে লাগে বিদ্যুতের তারে। হাত বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসতেই ঘটে বিপত্তি। ঝলসে যায় টুয়েল। এক ঝটকায় মালগাড়ির ছাদ থেকে নীচে পড়ে যায় সে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যুবককে। জখম যুবকের বাড়ি বীরভূমের রাজগ্রামেই। মঙ্গলবার দুপুরে রাজগ্রাম রেল স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়িটি। হঠাত্ই ওই মালগাড়ির উপরে উঠে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গেলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে নীচে পড়ে যায় যুবক। এদিকে, এই ঘটনা টের পেতেই আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। তাঁরাই জখম যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। জখম যুবকের বন্ধু সাম্বু শেখ জানায়, তারা দুপুরে স্টেশনে বেড়াতে গিয়েছিল। আচমকা টুয়েল মালগাড়ির উপরে উঠে সেলফি তুলতে শুরু করে। বিদ্যুতের তারে তার হাত ঠেকে যায়। ফুলকি দিয়ে আগুন বেরোয়। মালগাড়ি থেকে নীচে পড়ে যায় টুয়েল। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক ভর্তি রয়েছেন রাপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন চিকিত্সকরাও। তাঁরাও যুবককে সংকটমুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।