লবঙ্গ এবং কর্পূর দূর করবে আপনার জীবনের সকল সমস্যা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, যে কোনও বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলে তা সুখ-শান্তি এবং পারিবারিক উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে। বাস্তুদোষের কারণে উদ্ভূত নেতিবাচক শক্তি ব্যক্তির ভাগ্যে খারাপ প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি  অন্যান্য  নানান ধরনের  ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন বাড়ির লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে, লবঙ্গ এবং কর্পূর বাস্তু দোষ দূর করতে খুব কার্যকর। আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির হেঁসেলেই লবঙ্গ থাকে। বিভিন্ন রকমের রান্না থেকে শুরু করে পূজো সমস্ত কাজেই লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার। শাস্ত্র অনুযায়ী মত রয়েছে যে বাড়িতে লবঙ্গ এবং কর্পূর রাখা অত্যন্ত শুভ। বাড়িতে ঝগড়া-অশান্তি, যে কোনো কাজে বাধা, দূর্ভাগ্য এমন যে কোনো সমস্যা দূর করে দেয় এই লবঙ্গ ও কর্পূর। জ্যোতিষ শাস্ত্রে লবঙ্গ এবং কর্পূর দিয়ে করা বিশেষ কিছু টোটকার কথা বলা হয়েছে, আর যেই টোটকা গুলি জীবনের সব বাঁধা কাটিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তবে চলুন টোটকা গুলির সমন্ধে জেনে নেওয়া যাক —
• রাতে রান্নাঘরের কাজ শেষ হওয়ার পরে একটি পরিষ্কার পাত্রে লবঙ্গ ও কর্পূর পুড়িয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এতে পরিবারের মঙ্গল তো হয়ই, পাশাপাশি ব্যবসাপত্র বা দোকানপাট থাকলে সেখানেও উপকার মেলে। 
• বাস্তু অনুযায়ী বিবাহে বাধা এলে, তা দূর করার জন্য কর্পূর এবং লবঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ৬টি কর্পূরের টুকরো ও ৩৬টি লবঙ্গ নিন। এতে হলুদ, চাল মিশিয়ে দুর্গাকে এর আহুতি দিন। মনে করা হয়, এর ফলে শীঘ্র বিবাহ সম্ভব হয়।
• "সংসারে  প্রতিনিয়ত অশান্তি লেগে রয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু ঝামেলা হয়, পরিবারে  বারবার কেউ অসুস্থ হয়ে  পরছে ,"তবে জেনে নিন লবঙ্গের এই ছোট্ট টোটকা টি। প্রথমে চাটুতে ৭-৮ টি লবঙ্গ পুড়িয়ে নিন। এবার বাড়ির যেকোনো একটি কোনে পোড়া লবঙ্গ গুলি রেখে দিন। এর প্রভাব কিছুদিনের মধ্যেই সংসারে দেখতে পাবেন।
• প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই কমবেশি পুজো হয়ে থাকে। তাই পুজো করার সময় যদি প্রদীপে কয়েকটি লবঙ্গ এবং কর্পূর দিয়ে প্রজ্বলিত করেন তবে এর সু-প্রভাব সংসারে লক্ষ করতে পারবেন।
• বাড়িতে কি অশুভ শক্তি বিরাজ করেছে? তবে শনিবার অথবা রবিবার সন্ধ্যাবেলা ৫টি লবঙ্গ ৩টি কর্পূর ও ৩টি বড়ো এলাচ পুড়িয়ে সারা বাড়িতে ভালোভাবে দেখান এবং সেটার ছাই বাড়ির দুয়ারে ছড়িয়ে দিন। এতে সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

• শনি, রাহু-কেতুর জন্য দুর্ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, আমাদের রাগও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাতে ঘুমানোর আগে কর্পূর জ্বালালে লাভ হতে পারে। এ ছাড়াও রাতে হনুমান চালিসা পাঠ করার পরও কর্পূর জ্বালাতে পারেন। এর ফলেও আকস্মিক ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• "আপনার শত্রুরা কি আপনার ক্ষতি করতে চেষ্টা করছে", এমনটা হলে যে কোনও শনিবার একটি মাটির পাত্রে অথাৎ মাটির সরা নিতে পারেন। ওই মাটির পাত্রে কিছুটা কর্পুরের সঙ্গে তিনটি লবঙ্গ একসঙ্গে হনুমানজির সামনে রেখে পুড়িয়ে দিন। এতে আপনার শত্রু দূর হবে।
• অনেকেই মনে করেন যে, তাঁদের দেবদোষ বা পিতৃদোষ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকাল, সন্ধ্যা ও রাতে ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালালে ও শৌচালয়ে ২টি কর্পূর রাখলে এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
• "অনেকদিন ধরে অর্থ কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে," তাহলে লবঙ্গের এই ছোট্ট টোটকা টি করতে পারেন। সাতটি লবঙ্গ ও গোলমরিচ মাথা দিয়ে ঘুরিয়ে এমন জায়গায় ফেলে দিন যেখানে বাড়ির কেউ যাতায়াত না করে। মনে রাখবেন লবঙ্গ টিকে চারদিকে ফেলবেন এবং তারপর পিছন ফিরে তাকাবেন না।
•ভাগ্য মজবুত করার জন্য কর্পূরের সঙ্গে ১২টি সাবুদানা ও ৫টি লবঙ্গ  জ্বালান। বৃহস্পতিবার এই উপায় করেল আরও শুভ ফল পাওয়া যায়। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Related News