#Pravati Sangbad Digital Desk :
বয়স হলে হতে পারে কোলেস্টেরল। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বাড়বে, সাথে ততই চিন্তা বাড়বে। কারণ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণে শরীরে বহু রোগ বাসা বাঁধতে পারে। হৃদরোগ, যকৃত ও আরো অন্যান্য শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক সময়ে শরীরের খেয়াল রাখা দরকার ও নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে কিভাবে বুঝবেন কোলেস্টেরল বাড়ছে? -
১. কিভাবে উচ্চ কোলেস্টেরল গ্লুটিয়াল পেশী প্রভাবিত করে?
কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবথেকে চিন্তার তা হল, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যে বাড়ছে তা আগে থেকে বোঝা বড়ো মুশকিল, বলতে গেলে বোঝা যায়ই না। কোলেস্টেরল যখন বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যায় তখনই শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। কোলেস্টেরল বাড়লে পায়ের বিভিন্ন শিরা ও ধমনী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত পায়ের বিভিন্ন কোষে পৌঁছতে পারে না। এতে পা ভারী হয়ে যেতে পারে, এবং পা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
২. কেন এটি গুরুতর উদ্বেগ?
নিতম্বে ব্যথা হলেই আমরা হাড়ের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করি। নিতম্বের পেশী ও কোলেস্টেরলের মধ্যে সংযোগটি সাধারণ মানুষ খুব কমই বোঝে। কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে শরীরের শুধুমাত্র পায়ে আক্রমণ করে এমন নয়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও আঘাত করতে পারে। ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে যাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে ব্রেনে রক্ত পৌঁছয় না। এতে ব্রেন স্ট্রোক দেখা দিতে পারে। অন্য দিকে, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে হার্টেও সঠিক পরিমাণে রক্ত পৌঁছয় না। সেক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৩. লক্ষণ কি কি?
পায়ে ব্যথা, লেগ ক্রাম্প, ত্বক ও নখের রঙ পরিবর্তন, পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হয়ে যায় ইত্যাদি উপসর্গ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার চিকিৎসকের সাথে।
৪. কী কী ভাবে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব?
যে সব খাবারে অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাট থাকে সেই সব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। খাসির মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি ঘি, মাখন খাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কাঁচা নুন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ধূমপান সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Papri Chakraborty