অহেতুক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ৭টি কার্যকরী উপায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দুশ্চিন্তা করেন না এমন মানুষ নেই। মাথা থাকলে চিন্তা থাকবে আর চিন্তা থাকলে দুশ্চিন্তাও থাকবে। অফিসে কাজের  চাপ বা সাংসারিক ঝুটঝামেলা ব্যক্তিগত জীবনে টেনশনের রয়েছে হাজারও কারণ। দুশ্চিন্তা প্রকট হলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হতে পারে। আর এই টেনশনের হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ধেয়ে আসে। তাই টেনশন দূর করার পরামর্শ প্রায়ই দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বলা যত সহজ, টেনশন দূর করা ততটাই দুরূহ।
 বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু জটিল রোগের উৎস হলো দুশ্চিন্তা। এজন্য যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:

১) মন প্রাণভরে হাসা : নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি-ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।
২) বই পড়া:  জগতের সেরা বন্ধু হলো বই। ভালো বই ‘মনের খাদ্যদাতা’। বই পড়লে উৎসাহ বাড়ে, মানসিক শক্তি ফিরে আসে। প্রতিদিন অন্তত অল্প সময়ের জন্য হলেও বই পড়া দরকার।
৩) পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে : পুষ্টির অভাব হলে মানসিক চাপ বেশি করে আঁকড়ে ধরে। তাই এইসময় পুষ্টিকর খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন। ফাস্ট ফুড বাদ দিন। বেশি মসলাযুক্ত খাবার তখন না খাওয়াই ভালো। ফলমূল খান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৪) মেডিটেশন কিংবা ব্যায়াম:মানুষের অপ্রয়োজনীয় চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে মেডিটেশন। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে কোনো খোলা পরিবেশে অথবা ছাদে যেয়ে হালকা মেডিটেশন বা ব্যায়াম করুন। সারাদিন বেশ হালকা আর ফুরফুরে লাগবে। শরীর যদি ভালো থাকে, তাহলে মনও ভালো থাকবে। যে কোনো কাজ মন দিয়ে করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, নিয়মিত ব্যায়াম করলে কিন্তু স্কিনও ভালো থাকবে।

৫) ডায়েরি লেখার অভ্যাস : হাতে হাতে যখন ফোন আর ডিজিটাল লেখার যন্ত্র, তখন কাগজে কলমে লেখার অভ্যাস অনেকটাই চলে যাচ্ছে আমাদের। কিন্তু এই অভ্যাসটাই যে আপনাকে কতটা প্রশান্তি দেবে, আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। কোনো কারণে খুব বেশি মন খারাপ লাগলে, কোনো বিষয় আপনাকে কষ্ট দিলে, প্রতিদিনের ছোট বড়, আনন্দ কষ্টের ঘটনাগুলো তারিখ দিয়ে ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এটা স্মৃতির মতো কাজ করে। অনেকদিন পর আপনি যখন পুরনো ডায়েরি খুলে পড়বেন, সেটা অন্য রকম ভালো লাগার আবেশ তৈরি করবে, পুরনো অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে। আর ডায়েরি লেখার কারণে মনের ভেতরের চাপ অনেকটাই কমে যায়।
৬) নিজের বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো : অনেক সময় দেখা যায় বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক টেনশন অনেক কম হয়।বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক টেনশন দূর করার একটি দারুন উপায়।সবসময় একা থাকা মানসিকতা, মানুষের মনের পাশাপাশি শরীরের এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।এমনকি যদি হৃদরোগ ধরা না পড়ে তাহলেও ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই একা ঘরে বসে কখনই নিজেকে বন্দী করে লাভ নেই, এতে টেনশনের পাশাপাশি মানসিক উদ্বেগ বাড়ে।তাই ছুটি পেলেই বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো উচিত।
৭)ভ্রমণ : অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য ঘোরাঘুরি করার কোনো বিকল্প নেই। সাগর পাড়ে হিমেল হাওয়া, চিকচিকে বালি, সবুজ কোনো জায়গা- এর সবই প্রশান্ত করবে আপনার মন। তাই সুযোগ বুঝে বেরিয়ে পড়ুন পছন্দের কোনো জায়গায়।
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Related News