#Pravati Sangbad Digital Desk:
ধূপগুড়ির বাসিন্দা বাপী রায়ের বুদ্ধিমত্তায় গ্রেপ্তার দুই সোনা পাচারকারী। অভিযোগ ওঠে ওই দুই ব্যাক্তি সোনা নিয়ে কলকাতায় আসার পরিকল্পনায় ছিল। প্রায় এক কোটি টাকার সোনা-সহ দুই পাচারকারী ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। ৫ ই নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ওই দুই যুবক ধূপগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য তারা বাপি রায়ের চার চাকার গাড়ি ভাড়া করে। গাড়িতে ওঠার পর থেকে দুই যুবকের মধ্যে নানা সন্দেহজনক বার্তালাপ হয়ে থাকে। সেই বার্তালাপ শুনেই বাপী রায়ের মনে সন্দেহ জাগে। সন্দেহ করায় তিনি পেট্রোল ভরার নাম করে এক স্থানীয় পেট্রোল পাম্পে গাড়ি নিয়ে যান। ওই পেট্রোল পাম্পের শৌচালয়ে গিয়ে বাপি রায় তার পরিচিত এক পুলিশ আধিকারিককে ফোন করেন। সেই পুলিশ আধিকারিকই জানান ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের গোশালা মোড় এলাকায় গাড়ি আটক করবে পুলিশ।
গাড়ির চালক বাপি রায় জানান , “আমার প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল। ভরদুপুরে এই রোদের মধ্যে কেন দু’জন জ্যাকেট পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মাঝে রাস্তায় ধাবায় নেমেছিলেন চা খেতে। একজনকে দেখি বারবার জ্যাকেটটা টানছেন। ময়নাগুড়ি পেট্রোল পাম্পে দাঁড়াই। দাঁড়ানোর পর তেল ভরি। সেখান থেকেই পুলিশকে ফোনে জানাই"। এরপরই গাড়ি চেকিং করে উদ্ধার হয় ১৪ পিস সোনার বিস্কুট। বাপি রায় আরো জানান, “পেট্রোল ভরার জন্য পাম্পে দাঁড়ালে দু’জন আমাকে বলেন আড়াই হাজার টাকার পেট্রোল ভরতে। আমি জানতে চাই এত টাকার পেট্রোলে কী হবে? ওনারা বলেন, আমাকে ৩ হাজার টাকা দেবেন, শিলিগুড়ি নয় কলকাতা নিয়ে যেতে হবে। তখনই আমার সন্দেহ দৃঢ় হয়। তারপরই পুলিশ আধিকারিক বাপ্পা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনি বলেন গোশালা মোড়ে গাড়ি আটক করবেন। এরপর আমি গাড়ি নিয়ে আসলে গোশালা মোড়ে পুলিশ দেখে গাড়ি থামিয়ে দিই। এই ৪০ মিনিট আমার বুকের ভিতর যেন উথাল পাথাল চলছিল।”
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image