তৈরি হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর, খরচের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন ডলার!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

বন্যা হোক বা ভূমিকম্প, সুনামি হোক বা সাইক্লোন সমস্ত রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ-ই তছনছ করে দেয় এক একটি শহর। আর সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলি থেকে বাঁচতেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান উপকূলের কাছে সমূদ্রের উপর‌ই নির্মিত হবে এই শহর। পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে 'ওশেনিক্স' নামক এক সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই শহরটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যা যেকোনো প্রকার দুর্যোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম। সূত্রের খবর, জাতিসংঘের সহায়তায় ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যাবে এই শহর।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফ্লোটিং সিটি-তে (Floating City) দেখা যাবে অনেক ম্যানমেড আইল্যান্ড‌ও (Man Made Island)। ষড়ভুজ আকৃতির বানানো হবে প্রত্যেকটি দ্বীপ। দুটি দ্বীপের মধ্যে মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হবে বোটপড (Boat Pods)। সম্পূর্ণ শহরটিতে বসানো হবে সোলার প্যানেল। যা বাড়তি কোন খরচ ছাড়াই সমগ্র শহরটিতে ইলেকট্রিসিটি প্রদান করবে। পাশাপাশি খাবার এবং বিশুদ্ধ জলের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও।
এই শহরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এখানকার নাগরিকদের কেবলমাত্র উদ্ভিজ্জ খাদ্যের উপরে নির্ভর করেই জীবন যাপন করতে হবে। অ্যারোপোনিক এবং অ্যাকোয়াপনিক কৌশলের সাহায্যে করা হবে জৈব চাষ। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৭৫ হেক্টরের বেশি এলাকা জুড়ে নির্মিত হবে এই ভাসমান শহর। বসবাস করবে প্রায় ১০ ​​হাজার লোক। যদিও এই ভাসমান শহরে কারা বসবাস করবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। এখানে নির্মিত ভবনগুলির উচ্চতা কখনোই ৭ তলা অতিক্রম করবে না। যদিও এই শহরটি সমুদ্রের ঠিক কোন অংশে বানানো হবে তা নিয়ে চলছে দীর্ঘ গবেষণা। তবে কি মানুষ সত্যিই উপহার পেতে চলেছে প্রথম ভাসমান শহরে? সেদিকেই নজর সমগ্র দুনিয়ার!
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Uddyaloke Bairagi