৩৫০ বছর পুরনো দুর্গোৎসব : কমলা দেবী পুজীত হন মূর্শিদাবাদের ধূলিয়ান রাজবাড়িতে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাঙালির শ্রেষ্ঠপুজো দুর্গোৎসব কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ করোনা আবহেও জানান দিয়ে যাচ্ছে শরৎকাল এসে গিয়েছে। সত্যিই দেশে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে পুজো আদৌও হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল। অবশেষ সব সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে এ বছর দুর্গাপুজোপালন হচ্ছে তবে সরকারের দেওয়া বিধি–নিষেধ সব মেনে। বারোয়ারি ও থিম পুজোর পাশাপাশি রাজবাড়ির পুজোগুলিও কিন্তু প্রস্তুতি সারতে শুরু করে দিয়েছেন। তেমনি একটি পুজো হল মূর্শিদাবাদের ধূলিয়ান রাজবাড়ির ৩৫০ বছরের দুর্গাপুজো। ধূলিয়ান রাজবাড়িকে অনেকেই কাঞ্চনতলা রাজবাড়ি হিসাবে চেনে। লোকমুখে এই রাজবাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে যা জানা যায়, এই রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাঘবেন্দ্র নাথ রায়। তিনি ঢাকার বালুচি গ্রাম থেকে মূর্শিদাবাদের পারদাওনাপুরে এসেছিলেন এবং এখানে বসতি স্থাপন করেন। শোনা যায়, একবার তিনি নৌকা বিহারে বেড়িয়েছিলেন, সেউ সময় ধূলিয়ান শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরপর তাঁর নজরে পড়ে কাঞ্চনতলা নামে একটি এলাকা, এটি ঠিক কাছিমের পিঠের মতো। অর্থাৎ এখানে জল দাঁড়াতে পারবে না। তিনি এখানেই রাজবাড়ি তৈরি করবেন বলে মনঃস্থির করেন। এরপর থেকেই এই রাজপরিবারে দুর্গাপুজো শুরু হয়। ৩৫০ বছরের পুরনো এই পুজো আজও সেই একই জৌলুস ও রীতি–নিয়মের সঙ্গে পালন করা হয়। ধুলিয়ানের রায় বাড়ির ৩৫০ বছর পুরনো দুর্গাপুজোতে এখনও পশু বলির প্রথা রয়েছে। এছাড়া এখানে দেবী দুর্গার মূর্তি গড়া হয় কমলা রঙে। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের রাজবংশী রায় পরিবারের দুর্গাপূজা কাঞ্চনতলা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর মুর্শিদাবাদের নবাবের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে একটি কাঁচা চুক্তি পায় পরিবারটি। প্রায় ১০০ বছর পর, পরিবারটি অবশেষে ব্রিটিশ শাসকদের আস্থা অর্জন করে যখন তারা তাদের ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহকে দমন করতে সহায়তা করে। তখন থেকেই পরিবারের ভালো দিন শুরু হয়। রায়দের পারিবারিক পূজা প্রথমে পূর্ব বাংলার মালুচি গ্রাম থেকে দেওয়ানপুর এবং পরে কাঞ্চনতলা গ্রামে স্থানান্তরিত হয়। এই পরিবার সেখানে একটি প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছিল। একই প্রাসাদটি এখনও কিছু ব্যতিক্রমী আচার - অনুষ্ঠানের সাথে দুর্গাপূজার আয়োজন করে, যেখানে সারা বিশ্ব থেকে পরিবারের সমস্ত সদস্য স্থানীয় লোকদের সাথে একত্রিত হয় এবং তাদের একটি বড় অংশ মুসলিম।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image



#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Suchorita Bhuniya