#Pravati Sangbad Digital Desk:
(তৃতীয় পর্ব)
এক সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, সারা ভারতজুড়ে এই মুহুর্তে প্রায় আড়াই কোটি আদিবাসী আছে। এদের মধ্যে গারো, কাছারি, খাসি, মিকির, লুশাই জাতির সঙ্গে আসামের যুদ্ধ প্রিয় নাগা আদিবাসীরা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই জাতির আদিবাসীরা অবদান রেখেছেন। তবে ভারতে সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও জাতির আদিবাসীদের। শুধু বিহারেই সাঁওতাল আদিবাসির সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। অপরদিকে ওড়িশাতে ভুঁইয়া ও ভূমিজ এবং একদা নরবলির জন্য কুখ্যাত খোন্দ জাতির আদিবাসীদের দেখা যায়। এছাড়া বনবাসের সময়ে রামচন্দ্রের জন্য খাবার এনে দেওয়া সাও গোষ্ঠীর আদিবাসীদের বাস জগন্নাথের বাসভূমি ওড়িশাতে। অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও বিভিন্ন জাতির আদিবাসী দেখা যায়, যাদের কথা আমরা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের বইয়ে উল্ল্যেখ পাই।
এক সময়কার রাজকীয় আদিবাসী গোণ্ড শ্রেণীর মানুষকে মধ্যপ্রদেশে লক্ষ্য করা যায়। প্রায় দেড় লক্ষ্যের বেশি এই জাতির আদিবাসী থাকায় এখানকার অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে ‘গোন্ডওয়ানা’। ভারতের মধ্যাঞ্চলে আরও এক অঞ্চল মহাদেও পাহাড়ে প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ আদিবাসীদের দেখতে পাওয়া যায়। অপরদিকে, মহারাষ্ট্রে ভিল জাতির আদিবাসীদের দেখা যায়, এমনকি এই জাতির অগ্রগতি ও উন্নতির জন্য ভিল সেবা মণ্ডল নামে একটি দল গঠন করা হয়েছে।
তবে দক্ষিণ ভারতে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন জাতির দেখা মেলে। এরা মূলত, কার্ডামম পর্বত থেকে নীলগিরি পর্বত এবং পুর্ব মহিশূরের জঙ্গল এবং নাল্লামাল্লাই পার্বত্য অঞ্চল এই সমগ্র এলাকা জুড়ে এদের বাস।
সবশেষে বলা যায়, বিভিন্ন জাতির আদিবাসী সমগ্র ভারত জুড়ে বসবাস করলেও এদের সবার ভাষা এক নয়। বিভিন্ন আদিবাসী জাতির ভাষা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।