ভুল পদ্ধতিতে খাবার খাওয়ার সমস্যা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আজকাল বাঙালীর পেটের সমস্যা লেগেই আছে।ইনো, পুদিনহারা,র‌্যানটাক ছাড়া তারা অচল।সামান্য রোজের ভাত-ডাল-পাতলা মাছের ঝোল আর রুটি-তরকারি খেয়েও নাকি এত অ্যাসিডিটি,গ্যাস,বদহজমে নাজেহাল বাঙালি।তবে অনেকেরই জানা নেই,কিছু রোজের খাবার যা আমরা স্বাস্থ্যকর বলে মনে করি,তা অনেকক্ষেত্রে ভুল পদ্ধতিতে রান্না করি বা খাই।ফলে শরীরে হাজার গোলমাল দেখা দেয়।একনজরে জেনে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলি কী কী —
● ভুলভাবে রুটি তৈরি -
বেশিরভাগ হেঁশেলেই রুটি বেলার পর চাটুতে দু’পিঠ একটু সেঁকে নিয়ে গ্যাসের আঁচের উপর ফেলে ফুলিয়ে নেওয়া হয়।ফলে রুটি রীতিমতো ফুলে ওঠে।কিন্তু সেই রুটি হজম করতে সময় লাগে অনেক।কারণ এই পদ্ধতিতে রুটির বাইরেটা ভাল করে সেঁকা হলেও,ভিতরের কিছু অংশ কাঁচা থেকে যায়।
সেক্ষেত্রে রুটি পুরোটাই করুন চাটুর উপরে।আর ফোলানোর জন্য চাটুতেই রুটির এক দিকে একটি সুতির কাপড় দিয়ে চেপে চেপে ফুলিয়ে নিন।যদি ২-৩ মিনিট সময় বেশি লাগেও, তবে এই রুটি হজম করতে কোনও সমস্যাই হবে না।
উল্লেখ্য রুটির আটা মাখার সময়ে দুধ দিয়ে মাখলে,সেই রুটি তরকারি দিয়ে খেলে গ্যাস হবে।এবং ওজন কমানোর জন্য রুটিতে ঘি না লাগিয়ে তরকারিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে দিতে পারেন।
● রান্নায় পেঁয়াজের গোলমাল -
অনেকের মতে,পেঁয়াজ খেলে শরীর গরম হয়।আবার অনেকে তাঁদের খাদ্যাভ্যাস থেকে একেবারেই বাদ রাখেন পেঁয়াজ। আয়ুর্বেদিক মত অনুযায়ী, পেঁয়াজ ধাতে তমসিক।মানে পেঁয়াজ বেশি খেলে অ্যাসিডিটি, বদহজম লেগেই থাকবে।তবে ভারতীয় রান্নার বেশিরভাগ পদই পেঁয়াজ ছাড়া অসম্পূর্ণ।
তবে পেঁয়াজে নানা রকম পুষ্টিগুণও রয়েছে।স্যালাডের মধ্যে অল্প পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। আর রান্না করলে পেঁয়াজ বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজবেন না।তা হলে হজমে আর সমস্যা হবে না।
● ভুল ধরনের কলা খাওয়া -
কলা অত্যন্ত উপকারী এক ফল।কলায় নানা রকম পুষ্টিগুণও রয়েছে।তবে,অনেকেই বলেন যে,কলা খেলে অ্যাসিডিটি হচ্ছে। তাঁরা হয়তো খেয়াল করেন না, কোন ধরনের কলা তাঁরা কিনে খাচ্ছেন।
পরিষ্কার হলুদ চকচকে কলা ঠিক মতো পাকে না।ফলে কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়ে থাকে।এই দুই-ই শরীরের পক্ষে ভালো নয়।তাই, কেনার সময়ে দেখে নিন, কলায় অল্প অল্প কালচে দাগ আছে কি না।তা না হলে কেনার পর দু-তিন দিন রেখে তারপর খান।কলার গায়ে কালচে দাগ ফুটে উঠলে বুঝবেন,ঠিক মতো পেকেছে।এবং পাকা কলার স্বাদও হয় মিষ্টি।
এছাড়াও,মধুকে অনেকে ভারতীয় সুপারফুড বলে থাকেন।চিনির বদলে মধু খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো।মধুতে নানারকম পুষ্টিগুণও রয়েছে।মধু খেলে সর্দি-কাশি কিংবা শরীরের কোনও রকম প্রদাহ কমে যায় তাড়াতাড়ি।
তবে,মধু ফুটিয়ে খেলেই তার ধরন বদলে যায়।এমনকি সেই মধু খেলে পেটের গন্ডগোল হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ফুটন্ত জলে মধু দেওয়া ঠিক নয়।তবে গরম দুধে খেতে পারেন।অথবা ঈষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।এই দুই-ই শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Riya Some

Related News