#Pravati Sangbad Digital Desk:
সেন্ট্রাল ভিস্তার মাথায় অশোক স্তম্ভের উদ্বোধনের পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতের জাতীয় প্রতীকের সিংহ । বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক সৌম্য ও শান্ত । তবে মোদির উদ্বোধন করা অশোক স্তম্ভে সিংহদের শ্বদন্ত দেখা যাচ্ছে । অর্থাত্ সেগুলি আক্রমণাত্মক। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইংরেজ প্রকৌশলী ফ্রেডরিখ অস্কার ইমানুয়েল ওয়ের্টেল সারনাথ অঞ্চল খননের দায়িত্ব পান। তিনি প্রথমে মূল স্তূপের পশ্চিমে অশোকের আমলের এক স্থাপত্যের ওপর নির্মিত একটি গুপ্ত যুগের মন্দিরের অবশেষ খুঁজে পান। এর পশ্চিম দিকে তিনি অশোক স্তম্ভের নিচের ভাঙ্গা অংশটি আবিষ্কার করেন। অশোক স্তম্ভটির বাকি অংশ তিনটি ভাগে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর অশোক স্তম্ভটির শীর্ষ ভাস্কর্য্য খোঁজার চেষ্টা করা হয় এবং অদূরেই সেটিকে পাওয়া যায়। সাঁচী থেকে প্রাপ্ত অনুরূপ সিংহচতুর্মুখ স্তম্ভশীর্ষের চেয়ে সারনাথে আবিষ্কৃত ভাস্কর্য্যটি তুলনামূলক ভাবে যথেষ্ট ভালো অবস্থায় ছিল। শীঘ্রই উৎখননের স্থানে সারনাথ সংগ্রহালয় স্থাপন করে আবিষ্কৃত প্রত্নসামগ্রীর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে অশোকের সিংহচতুর্মুখ স্তম্ভশীর্ষের মুদ্রণরূপ গৃহীত হয়। জাতীয় প্রতীকে গৃহীত রূপটিতে চতুর্থ সিংহটি দেখা যায় না, কারণ স্তম্বশীর্ষে এটি পিছনে অবস্থিত ও সামনে থেকে দৃষ্টিগোচরে আসে না। সিংহের পায়ের তলায় যে ভিত্তিভূমির কেন্দ্রে ধর্মচক্র, ডানদিকে ষাঁড় ও বাঁদিকে লম্ফমান ঘোড়া দেখা যায়। বাঁয়ে ও ডানে একদম ধারে ধর্মচক্রের দুটি ধার দেখা যায়। জাতীয় প্রতীকের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল দেবনাগরী হরফে খোদিত সত্যমেব জয়তে নীতিবাক্যটি, যা মূল স্তম্ভশীর্ষে দেখা যায় না। জাতীয় প্রতীক সংক্রান্ত ২০০৫ সালের একটি আইনের ৬ (২(এফ) ধারায় বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় বা সমীচীন বলে বিবেচনা করে এমন সব বস্তু (যেমন প্রতীকের নকশা এবং এর ব্যবহার সহ) পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকবে।প্রতীকের নকশায় পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। প্রসঙ্গত, সদ্য ৯.৫০০ হাজার কেজি ব্রোঞ্জের অশোকস্তম্ভের সূচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা থেকে মোদী মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, ৬.৫ মিটারের উচ্চতার যে সিংহের রূপ রয়েছে তা সারনাথের সিংহের রূপের সমতূল্য নয়। নয়া মূর্তিতে খোলা মুখের সিংহে আগ্রাসন রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।