#Pravati Sangbad Digital Desk:
শ্রীলঙ্কা ফের হাত পেতেছে চীনের কাছে। তার অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। আবেদন জানিয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর কাছে। শ্রীলংকার এর উপরে চেপে আছে ঋণের বোঝা তার ওপর আবার ঋণের জন্য আবেদন। আবেদনে সরাসরি না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে কেন জিনপিং শ্রীলংকার আবেদনে কোন সারা দিচ্ছেন না?
শুধু শ্রীলঙ্কা নয় দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ যেমন পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপ জর্জরিত চিনা ঋণে। পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য , চিনা ঋণে করা হয়েছে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিহ্নমাত্রা নেই। ফলে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে সেই দেশগুলোকে। একই লক্ষ্যে চীনের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা এখন তারও নাকানি চোবানি অবস্থা। দেশের নাগরিকদের অবস্থা শোচনীয়। উল্লেখ্য, চীন দেশগুলিকে ঋণ দিয়েছিল 'বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' খাতে। এখন, ঋণ ভারে জর্জরিত একটা দেশের কি পরিস্থিতি হতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হল শ্রীলংকা। এরফলে শ্রীলঙ্কার মানুষেরা শুরু করেছেন গণবিদ্রোহ।
বর্তমানে শ্রীলংকার রাজকোষে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে ২০১৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার।
নাগরিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পরিবর্তে পরিকাঠামগত উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ ব্যয় এবং নাগরিকদের উপরে ঋণের বোঝার চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি শ্রীলংকার নাগরিকদের বিদ্রোহী গড়ে তুলেছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ ঋণের ভারে শ্রীলংকার এই অবস্থা থেকে কি শিক্ষা নেওয়া যায় না? অপরদিকে শি জিনপিং শ্রীলংকাকে ঋণ দেবেন কিনা তা এখন জল্পনার।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : অর্জুন দাস