ডায়াবেটিসের প্রবণতা বৃদ্ধি : করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পরই এরূপ পরিবর্তন দাবি মহারাষ্ট্রের গবেষকদের।

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এক গবেষক দাবি করেছেন করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ছে এবং করোনা সংক্রমণের পর গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষের মধ্যে হঠাৎ করে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার অন্তরালে যে করোনা সংক্রমণ রয়েছে সেটা এতদিন জানা যায়নি। যদিও পোস্ট কোভিড সমস্যার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম সেটা ২০২০ সালেই দেখা গিয়েছিল। 
করোনা সংক্রমণের পর রোগীর শরীরে একাধিক নতুন রোগের উপসর্গ দেখা যায় একেই বলা হয় পোস্ট কোভিড পরিস্থিতি। ২০২০ সালেই গবেষকরা জানিয়েছিলেন যাঁরা করোনা কাটিয়ে সেরে উঠছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ তাঁদের আগে কোনও রকম ডায়াবেটিস ছিল না।
 চিকিৎসক হিমন্ত ভাস্কর জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের পর একাধিক ব্যক্তির শরীরে ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে । তাঁদের বেশিরভাগেরই পরিবারে কেউ ডায়াবেটিসে কোনওদিন ছিল না। করোনা সংক্রমিত হওয়ার পরেই তাঁদের শরীরে ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। 
 মুম্বইয়ের বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জলিল পার্কার জানিয়েছেন, হঠাৎ করে এমন কয়েকজন রোগী আসছেন হাসপাতালে যাঁদের শরীরে শর্করার মাত্রা মারাত্মক আকার নিয়ে ফেলছে এবং এঁরা সকলেই আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যাঁদের শরীরে আগে কোনও দিনও ডায়াবেটিস ছিল না করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের শরীরে এফেক্ট ফেলেছে কোভিড।
শুধু মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকরাই নন রাজধানী দিল্লির গবেষকরাও এই দাবি করেছেন তাঁরাও জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের শরীরে ডায়াবেটিসের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। সেকারণে গত কয়েক বছরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে ভারতে। একাধিক জায়গায় এই সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। শুধু শহর নয় গ্রামেও একাধিক করোনা মুক্ত রোগীর শরীরে এই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। চিকিৎসকদের দাবি করোনা সংক্রমণের ফলে রোগীর শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। যার জন্যেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই তাঁরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে আবার ভারতে নতুন করোনা ভ্যারিেয়ন্টের হদিশ মিলেেছ বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলি গবেষকরা। তাঁরা দাবি করেছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভারতের সাতটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই বিশেষ প্রজাতিতে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। চিকিত্‍সকদের মতে, করোনার নতুন নতুন প্রজাতি নিয়ে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত। প্রয়োজন মনে হলে, করোনা টেস্ট করাতে হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য, তাঁদের অবশ্যই সমস্ত ডোজ, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নিতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Suchorita Bhuniya

Tags:

Related News