প্রত্যেকদিন কী ডাল খাচ্ছেন! কিন্তু, তা কী আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারী!!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দৈনন্দিন জীবনে ডাল ছাড়া ভাবাই যায় না। বাঙালিদের দিনে বা দুপুরে ভাতের সাথে ডালটা খেতেই হবে।  মসুর ডাল না হলে ভাত খেতে পারেন না, আমাদের দেশে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। শুধু আমাদের দেশেই নয়, গোটা পৃথিবীজুড়েই এটি খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। মসুর ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকমের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। যেমন- ডালের চচ্চড়ি, ডালনা, নিরামিষ, পিঁয়াজু, ডালপুরি, ডালের স্যুপ, আম ডাল, পুঁই ডাল ইত্যাদি। মসুর ডাল প্রোটিনের আধার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়। মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়োমিত মসুর ডালের মতো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া মসুর ডাল ফলেট (folate) এবং ম্যাগনেশিয়াম এর একটা বিরাট উৎস, যা হার্টকে আরও বেশি তারুণ্য পেতে সহায়তা করে। ম্যাগনেশিয়াম শরীরের সর্বত্র রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টি প্রবাহ করতে সাহায্য করে। মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার এটা দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা রক্তের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে আপনার ধমনীকে পরিষ্কার রাখে। মসুর ডালের ফাইবারে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীর চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, তাছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। ফলে এটি হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার।বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার বদলে নিয়মিত ডাল খেতে পারেন। এতে ক্ষুধা হ্রাস পাওয়াসহ ভরাপেটের অনুভূতি থাকবে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়াও মসুর ডাল খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে, বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ। ডালে একসঙ্গে আয়রন ও ফলেট দুটিই পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

কাঁচা মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক ও ফাইবার। তাই এই ডাল যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর।
অড়হর ডাল অত্যন্ত পুষ্টিকর। এই ডালে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-বি আর পটাশিয়াম রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
 ছোলার ডাল বা চানা ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, কপার, ফোলেট, মলিবডেনামের মতো জরুরি উপাদান যেগুলি আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ডাল যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর।
হজমের সমস্যা কমাতে বিউলির ডাল অত্যন্ত কার্যকর! ভাতের সঙ্গে ছাড়াও, পরোটা বা রুটির সঙ্গেও অনেকে এই ডাল খেতে ভালবাসেন। দোসা, বড়া বা এই জাতীয় দক্ষিণী পদ তৈরির ক্ষেত্রে বিউলির ডাল অপরিহার্য একটি উপাদান। এই ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকলে প্লেটে রাখুন রাজমা ডাল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর ফাইবার যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে তরকার ডালে। সেই সঙ্গেই এই ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর ফ্যাট। তরকার ডালে নামমাত্র সোডিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News