Flash News
Monday, September 22, 2025

পয়গম্বর সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্যের জেরে জাতীয় সড়ক অবরোধ!!

banner

journalist Name : SRIJITA MALLICK

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নবী মহম্মদ-কে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ডোমজুড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে  বিক্ষোভ দেখায় সংখ্যালঘুরা। টানা ১০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও এখনও চলছে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ চলাকালীন দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই তাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নবীর বিরুদ্ধে এই বক্তব্য রাখার জন্য বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সেখানে আসেন হাওড়া সিটি পুলিসের কমিশনার সি সুধাকর এবং গ্রামীণ পুলিসের সুপার সৌম্য রায়। তাঁদের অনুরোধেও ওঠেনি অবরোধ। বরং নতুন করে কিছু লোক অবরোধ শুরু করে দেয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের খেজুরতলা এলাকায়। যানজটে থমকে যায় বিদ্যাসাগর সেতুও।
অবরোধ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জল-খাবার শেষ হয়ে যায় গোটা এলাকায় যা সরবরাহ করার পর্যন্ত লোক মেলেনি। মেদিনীপুরের বাড়ি থেকে টালিগঞ্জে ফিরছিলেন দেবজ্যোতি সান্যাল। বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় ঝড়বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও সেটা আর এক ভোগান্তি। কী ভাবে যে রয়েছি, বলে বোঝাতে পারব না। মেয়েদের শৌচাগারে যাওয়ার উপায় নেই। পুলিশ কেন ওঠাতে পারল না অবরোধ?’’
মানুষের ভোগান্তির খবর পেয়ে বিকেলেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের স্বার্থে অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। কোনও দলের নাম না করে তিনি বলেন, রাজ্যে মাত্র একটি বিধানসভায় জেতা দলের ইন্ধনেই এসব হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে কেউ যেন পা না দেয়। তিনি আরও বলেন, 'আমরা কোনও ধর্মগুরুর অপমান বরদাস্ত করি না। রাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।' যেহেতু এই ঘটনার সঙ্গে বাংলার সরাসরি কোনও যোগ নেই, দিল্লিতে গিয়ে অবরোধ করলে তাতে তাঁর পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও জানান মমতা।
তাঁর কথায়, 'বিজেপির উপর যদি রাগ থাকে, তাদের হাতের কাছে না পেয়ে আমাকে হত্যা করলে খুশি হবেন? আমি প্রস্তুত আছি। কিন্তু বাংলাকে শান্ত রাখুন।' মমতা জানান, তাঁর সঙ্গে নাখোদা মসজিদের ইমামের কথা হয়েছে। উনিও এই অবরোধ তোলার আর্জি জানিয়েছেন। নাখোদা মসজিদের ইমামের একটি ভিডিও বার্তা তিনি চালিয়েও দেন সাংবাদিক সম্মেলনে। ফুরফুরা শরিফ এবং খিলাফত কমিটির তরফেও অবরোধ তোলার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।তবে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরও অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ ছিল। পরে রাতের দিকে, প্রায় ১১ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

রাজ্য
Related News