#Pravati Sangbad Digital desk:
মাঝে মধ্যেই পেটে যন্ত্রণা হয়? হজমের সমস্যা কিংবা গ্যাস অম্বল, সামান্য গ্যাসের ওষুধ খেয়ে ভাবছেন সুস্থ হয়ে যাবেন, তাহলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন আপনি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে রেখছেন, কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে ফ্যাটি লিভার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। লিভারে কাজ প্রধানত পাচন অ্যাসিড তৈরি করা, এবং সেই অ্যাসিডের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রিকে হজম করা, তবে লিভারে সামান্য কিছু পরিমাণ ফ্যাট আগে থেকেই বিদ্যমান থাকে, কিন্তু সেই ফ্যাটের পরিমাণ কোন কারণে বেড়ে গেলে শুরু হয় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, শুধু তাই নয় লিভার সিরোসিসের মতো সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার থেকে হয়, সেই থেকে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে চিকিৎসকদের মত।
গবেষণায় দেখা গেছে ফ্যাটি লিভার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে, প্রথমত অতিরিক্ত মদ্যপান, অন্যদিকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত মাছ, মাংস কিংবা ফাস্ট ফুড খাওয়া, মদ্যপানের কারণে যেই ফ্যাটি লিভার হয় তা খাদ্যজনিত ফ্যাটি লিভারের সমস্যার থেকে আরও বেশি ভয়ানক। ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ার সাথে সাথেই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে। প্রথমত, ওজন কমানো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বেশি মেদ যুক্ত ব্যাক্তিদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাই প্রথমেই কমাতে হবে নিজের ওজন, সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম, প্রাণায়াম অত্যন্ত জরুরি, আবার ভোর বেলাই উঠে যদি কোন ব্যাক্তি বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন তাহলে তো কোথায় নেই। দ্বিতীয়ত, তৈলাক্ত মাছ, খাশির মাংস, তেলে ভাজা পুরোপুরি ভাবে বর্জন করতে হবে, ঘি মাখন দুধ থেকে থাকতে হবে শতহস্ত দূরে। তৃতীয়ত মদ্যপান একেবারেই নিষিদ্ধ, তা হলে কোন ভাবেই ফ্যাটি লিভার কমা সম্ভব নয়, উল্টো দিকে মদ্যপান না বন্ধ করলে লিভার সিরোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চতুর্থত এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা, কারণ সুগার থাকবে যে কোন ধরণের রোগ আগের থেকে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তাই সুগার নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি।