অবশেষে জট কাটিয়ে শপথ গ্রহণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে বালিগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসনে উপনির্বাচনে ব্যবধান কমলেও জিতছেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু জেতার পরেও জটিলতা কাটছিল না। প্রথম দফায় রাজ্যপাল শপথ গ্রহণ স্থগিত রেখে বিধানসভার অন্যান্য বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপালের এমন ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের পরিষদীয় দপ্তর বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করায় শেষে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল।এপ্রিল মাসের ১২ তারিখে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে উপ নির্বাচন এবং ১৬ এপ্রিল ফল ঘোষণা হয়। অবশেষে ২৪ দিন পর বিধায়ক হিসেবে আজ বেলা ১২টা নাগাদ শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবার সন্ধেবেলাই জানা গিয়েছিল বুধবার দুপুরে বিধানসভায় শপথ নেবেন বাবুল সুপ্রিয়।
এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না স্পিকার। উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, উপ-মুখ্যসচেতক তাপস রায় প্রমুখ। তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, 'উচিত্ কথা বলা' স্পিকারের উপর রাগ দেখিয়েই রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আশিসবাবু ধনকড়ের এই ফাঁদে পা না দিয়ে প্রথমে সটান রাজ্যপালের প্রস্তাব খারিজ করে দেন। তারপর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। বাবুলের শপথ গ্রহণ নিয়ে নিশ্চুপ ছিল রাজভবন। কিন্তু বালিগঞ্জের সাধারণ ভোটারদের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকারকেই শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুরোধ করেন স্বয়ং স্পিকার। তারপর রাজি হন তিনি।আবার এদিকে,বিধায়ক হওয়ার পরেও বাবুলের শপথ নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে কাজের চেয়ে অকাজ বেশি হয়। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। নির্বাচিত হওয়ার পরেও শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিতর্ক না হলেই ভালে হত।'
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image