নানাবিধ বাদামের উপকারিতা এবং অপকারিতা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

বন্ধুদের আড্ডায় বাদাম এক অতি পরিচিত খাবার। বছরের পুরো সময়ই ছোট থেকে বড়, সব দোকানেই বাদাম কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত আমরা যে বাদাম খেয়ে থাকি তার নাম চীনা বাদাম। কিন্তু এই বাদাম ছাড়া আরো অনেক রকমের বাদাম রয়েছে। প্রত্যেক বাদামেরই রয়েছে আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ এবং ব্যবহার। থিয়েটার, স্কুল, অফিস, চায়ের দোকানই হোক বা জমজমাট গল্পের আড্ডাখানাই বলুন সব জায়গায় একটাই স্ন্যাক্স খুব পরিচিত। সেটি বাদাম। এই মুখরোচক স্ন্যাক্সটা সবাই খেতে খুব মজাই পায়। তাছাড়াও এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো। এই সুস্বাদু খাবারটি রান্নার স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এর বিকল্প নেই। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের সমস্ত রকম রোগ থেকে মুক্ত রাখে।
বাদামের প্রকারভেদ :
সারাবিশ্বে অসংখ্য রকমের বাদাম রয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর তারতম্যের কারণে একেক অঞ্চলে একেক রকমের বাদাম উৎপন্ন হয়। তবে সারাবিশ্বে মোটামুটি ১০-১২ রকমের বাদাম রয়েছে যেগুলো প্রায় সকলের কাছেই পরিচিত। সহজলভ্যতা ও বহুল ব্যবহারের দিক থেকে যেসব বাদাম আমাদের কাছে অধিক পরিচিত সেগুলো হলো কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, ব্রাজিলিয়ান বাদাম, চেস্ট নাট ( এক ধরনের গোলাকার বাদাম), হ্যাজেল নাট, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম, পিক্যান বাদাম, পিলি বাদাম, পাইন বাদাম ও আখরোট।
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা :
বাদামে উচ্চমাত্রায় ফ্যাট থাকে। কিন্তু এই ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং উপকারী। এছাড়া বাদাম ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস। বিভিন্ন গবেষণা থেকে বাদামের নানাবিধ উপকারের কথা জানা গেছে। বিশেষ করে বাদাম খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এছাড়া বাদামের আরো যেসকল উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 
পুষ্টি উপাদানের বড় উৎস: বাদামে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে যার প্রত্যেকটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ৩০ গ্রাম বিভিন্ন ধরনের বাদাম থেকে ১৭৩ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এছাড়া প্রোটিন ৫গ্রাম, ফ্যাট ১৬গ্রাম, ফাইবার ৩গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬গ্রাম পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বাদামে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম থাকে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর: বাদামকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর বলা হয়। বিশেষ করে আখরোট ও কাঠবাদামে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির ঝুঁকি কমায়।
বাদাম ওজন কমাতে সহায়ক: বাদামকে উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার মনে করা হয়। কিন্তু বাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে না। বরং তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়েটে অলিভ অয়েলের চেয়ে বাদাম খেলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। ওজন কমানোর জন্য কাঠবাদাম খুবই উপকারী। কাজুবাদামেরও একই গুণ রয়েছে। যে সকল নারী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ডায়েটে বাদাম রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ ডায়েটে বাদাম রাখলে অন্য নারীদের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। অনেকে অতিরিক্ত ফ্যাট থাকার কারণে বাদাম খেতে চান না। তাদের জন্য আশার বাণী হলো আমাদের শরীর বাদামে থাকা ফ্যাট পুরোপুরি শোষণ করে না। যার ফলে বাদামে অতিরিক্ত ফ্যাট থাকলেও বাদাম খেয়ে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বাদাম কোলেস্টেরল ও টাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও টাইগ্লিসারাইডের ফলে শরীর মুটিয়ে যায় এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যদি নিয়মিত বাদাম খাওয়া হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি করা সম্ভব। বিশেষ করে পেস্তাবাদাম টাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। প্রায় ১২ সপ্তাহের এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত পেস্তাবাদাম খান, তাদের শরীরে টাইগ্লিসারাইড প্রায় ৩৩% কম। আর কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে বাদামের ফ্যাটি এসিড।

কাঠবাদাম ও হ্যাজেল নাট খাওয়ার ফলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নিম্ন ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) কমিয়ে উপকারী উচ্চ ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়ে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আখরোট, চিনাবাদাম, পাইন বাদাম ও ম্যাকাডেমিয়া নাটও খুবই উপকারী। এই বাদামগুলো যেভাবে খুশি খেতে পারেন।
প্রদাহ কমাতে সহায়ক: বাদামের মধ্যে প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছেন। কোনো চোট, ব্যাকটেরিয়া কিংবা অন্য কোনো কারণে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হলে বাদাম খাওয়া উত্তম। নিয়মিত বাদাম খেলে ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা কিডনি ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ভুগছেন। এর জন্য খেতে হবে আখরোট, পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম ও ব্রাজিলিয়ান বাদাম।
ফাইবারের ভালো উৎস: ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন খাবারে ফাইবারের অভাব হয় তখন আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার ঘটে। ফাইবার খাবার হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি খাবারের ক্যালরির মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হতে পারে না। কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, চিনাবাদাম, পিক্যান, হ্যাজেলনাট, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ও ব্রাজিলিয়ান বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: হৃদযন্ত্রের জন্য বাদাম খুবই উপকারী। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাদাম খেলে হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়৷ যার ফলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। একই সাথে স্ট্রোক করার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

কাজুবাদামের উপকারিতা :
নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে।কাজুবাদামে উচ্চমাত্রায় কপার থাকে। যা রক্তের দূষিত কণিকা দূর করে রক্তে লৌহের মাত্র বাড়ায়। ফলে রক্তের বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।কাজুবাদামে জিয়া জ্যানথিন নামে এক ধরনের শক্তিশালী পিগমেন্ট থাকে, যা আমাদের চোখকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। কাজুবাদামে উচ্চমাত্রায় সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস থাকে। সেলেনিয়াম আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া সেলেনিয়াম ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কাজ করে। কাজুবাদাম ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই বাদাম ফাইবারের বড় এক উৎস। নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে চুল উজ্জ্বল ও ঘন হয়।
কাজুবাদামের অপকারিতা :
অনেক গুনাগুনের পাশাপাশি কাজুবাদামের বিভিন্ন ধরনের অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়৷ এছাড়া কাজুবাদামে উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম থাকার ফলে অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের কাজুবাদাম খেলে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া কাঁচা কাজুবাদামের মধ্যে থেকে এক ধরনের বিষাক্ত তরল বের হয় যা শরীরে লাগলে ঘা হয়ে যায়৷ এ কারণে বাজারে খোলযুক্ত কাঁচা কাজুবাদাম পাওয়া যায় না।
কাঠবাদামের উপকারিতা : 
কাঠবাদাম হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাঠবাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন -ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বক সুস্থ রাখে। কাঠবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। কাঠবাদাম ওজন বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস প্রতিরোধ করে।কাঠবাদাম খাওয়ার পরে শরীরে পুষ্টি উপাদান শোষণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কাঠবাদাম পাকস্থলির পরিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এই বাদাম শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করে। 

কাঠবাদামের অপকারিতা :
অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হয়।
১০০ গ্রাম কাঠবাদামে ২৫ গ্রাম ভিটামিন-ই থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দিনে সর্বোচ্চ ১৫ গ্রাম ভিটামিন-ই গ্রহণ করতে পারেন। অতিরিক্ত ভিটামিন-ই গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, শরীর দুর্বল ও চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে শরীরে রক্তচাপের ঔষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করতে পারে না। গর্ভবর্তী মহিলাদের অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।
চিনাবাদামের উপকারিতা :
বায়োটিনের বড় উৎস চিনাবাদাম। বায়োটিনকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের সাথে তুলনা করা হয়। বায়োটিন স্কোরোসিস, ডায়াবেটিস ও মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চিনাবাদামে শতকরা ৮০ ভাগ অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। চিনাবাদামে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। চিনাবাদাম পিত্তথলিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে। চিনাবাদাম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
চিনাবাদামের অপকারিতা :
অতিরিক্ত চিনাবাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে, যা শরীরে অন্যান্য জলীয় উপাদান শোষণে বাধা প্রদান করে।চিনাবাদামে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
পেস্তাবাদামের উপকারিতা :
পেস্তাবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তাবাদামে ক্যালোরি কম থাকে। কিন্তু অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে সর্বোচ্চ পরিমাণে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেস্তাবাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পেস্তাবাদাম খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা কমে যায়৷ ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।পেস্তাবাদাম রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।
পেস্তাবাদামের অপকারিতা :
অতিরিক্ত পেস্তাবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
অতিরিক্ত পেস্তাবাদাম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের পেস্তাবাদাম পরিহার করা উচিত। এছাড়া অতিরিক্ত পেস্তাবাদাম কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করে থাকে। পেস্তাবাদাম এলার্জির সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া অতিরিক্ত ফাইবার থাকায় হজমেও সমস্যা তৈরি করে।

কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা :
কাঁচা বাদাম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। বাদাম ভাজলে আগুনের তাপে উপকারী মনোআন্স্যাচুরেটেড এবং পলিআন্স্যাচুরেটেড ফ্যাট নষ্ট হয়ে যায়। আর তেলে ভাজা বাদাম খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তবে ১০-১৫ মিনিট নিম্ন তাপে ভোজ্য তেল ছাড়া বাদাম ভেজে খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা বাদাম খাওয়ার আগে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস থাকতে পারে। কাঁচা বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ত্বকের উপকার হয় এবং অধিক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
-সুতরাং ফল ও শাকসবজির মতো আমাদের শরীরের জন্য খুব পুষ্টিকর এক খাবার হলো বাদাম। এতে থাকা প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। মস্তিষ্কের জন্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাদাম বেশ উপকারি। ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতেও ভূমিকা রাখে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Debopriya Banerjee

Related News