#Pravati Sangbad Digital Desk:
বুকে ব্যাথা হলেই যে আতঙ্ক আমাদের ঘিরে ধরে তা হলো হার্ট অ্যাটাক। একটা বয়সের পর এই বুকে ব্যাথা উঠলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন সকলেই। কেউ ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খান তো কেউ নিজেই নিজের ডাক্তারি সেরে ফেলেন। তবে সব ক্ষেত্রেই বুকে ব্যাথা মানে হার্ট অ্যাটাক হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। এতে করে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কিছুটা খাবারের অনিয়ম, শরীর চর্চার ক্ষেত্রে অনীহাও এর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
পূর্ণ বয়স্ক একজন মানুষের বুকে ব্যাথার কারণ গ্যাস্ট্রোইনস্টেনিয়াল। যা শতকরা একশো ভাগে ৪২ ভাগ। এটি মূলত গ্যাস, পাকস্থলী ও অন্ত্রের রোগ।
বুকে ব্যাথা হলো একটি শারীরিক অবস্থা তা মৃদু থেকে তীব্র ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে আমেরিকায় বছরে ৫০ লক্ষ্যের বেশি মানুষ এই বুকে ব্যাথার কারণে হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে ভর্তি হয়। আমাদের দেশে পরিসংখ্যান না করা থাকলেও নেহাত সংখ্যাটি কম হবে না।
হার্ট অ্যাটাক জনিত বুকে ব্যাথা হবার যে লক্ষণ গুলি রয়েছে সেগুলি হলো - তীব্র ব্যাথা হবে, বুক ভারী লাগবে, মনে হবে নিঃশাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ও বুকে চাপ অনুভূত হবে, শরীর অত্যন্ত ঘেমে যাবে, বমি বমি ভাব, বাম দিকের হাট, কপাল, থুতনিতে ব্যাথা হওয়া, এই হার্ট অ্যাটাক সাধারণত বুঁকের বাঁ দিকে হয়। এই অ্যাটাক আসতে আসতে অল্প থেকে তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
অনেক সময় হৃদপিন্ডে রক্ত প্রবাহের ঘাড়তি জনিত যে বুকে ব্যাথার সৃষ্টি হয় তাকে হৃদশুল বা অ্যানজাইনা পেক্টোরিস বলে।
বুকে ব্যাথার অন্যান্য কারণগুলি হলো :
১. প্রথম ও প্রধান কারণ হিসাবে যা ধরা হয় তা হলো অ্যাসিডিটি। অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ বা খাদ্য সহজে হজম না হলে অ্যাসিডিটির সৃষ্টি হয় যার প্রভাবে বুকে ব্যাথা অনুভূত হয়।
২. ভারী জিনিস তোলার সময় অনেকসময় পেশিতে টান লাগে সেক্ষেত্রে বুকে ব্যাথা হয়।
৩. সর্দি, কাশির সময় বুকের মধ্যেই কফ জমে থাকলে নিঃশাস নেওয়ার সময়, কাশতে গেলে বুকে ব্যাথা হয়।
৪. ফুসফুসের সমস্যা থাকলে তা থেকে বুকে ব্যাথা হয়।
৫. হঠাৎ খুব উত্তেজিত হয়ে পড়লে এই ব্যাথা অনুভূত হয়।
এছাড়া বমি করার সময়, উচ্চ রক্তচাপ যাদের আছে তাদের মাঝে মাঝে এই ব্যাথা হয়। এছাড়া দ্রুত হাঁটা বা ছোটার ক্ষেত্রেও এই ব্যাথার লক্ষণ ফুটে ওঠে।
তবে এসব বিষয়ে সবসময় সচেতন হওয়া জরুরি। সব বুকে ব্যাথা হৃদ রোগের কারণ নয়, তাও তা অবহেলা করা উচিত নয়।