#Pravati Sangbad Digital Desk:
গুড় ও কিশমিশ দুটোই বেশ সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। এই দুটো খাদ্যই একই সাথে ওজন হ্রাস করতে কাজে লাগে। তবে এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান তখনই মানবদেহের পক্ষে কাজ করতে সক্ষম হয় যখন এগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া হয়। এই দুটো সুপারফুড খাদ্যের শুধুমাত্র যেকোন একটি খাদ্য খেলে শরীরের ওজন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। তাই এই দুটি খাদ্য উপাদান মিলিতভাবে খেলেই মানবদেহের উপকার হয়।
গুড়ের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ :-
চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হল গুড়। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য হল গুড়। চিনির সাথে গুড়ের পার্থক্য হল চিনিতে ভীষণ মাত্রায় ক্যালোরি থাকলেও গুড়ে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। গুড়ে প্রচুর ভিটামিন থাকে এবং এটি সম্পূর্ণ খনিজ সমৃদ্ধ, যা একাধিক উপায়ে মানব স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
গুড় বিশেষ উপায়ে শরীরের মেদ হ্রাস করতে সাহায্য করে। গুড়ে ক্যালোরিও প্রায় নেই বলা যায়। ৩৮ ক্যালোরি থাকে ২০ গ্রাম গুড়ে। গুড়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান যেমন, প্রাকৃতিক সুইটেনার ইলেক্ট্রোলাইট স্তরের ভারসাম্য বজায় রেখে মানুষের শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি গুড় খেলে তা অধিক মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি করে মানবদেহে অতিরিক্ত ক্ষতি করে, তাই সঠিক পরিমাপে এই খাদ্য খাওয়া জরুরী।
কিশমিশের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ:-
কিশমিশ একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য। কিশমিশ থেকে মানবদেহে তৃপ্তি অর্থাৎ জলের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি খেলে আপনার শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য বেশ ভরপুর থাকে। যারা খুব তাড়াতাড়ি ওজন হ্রাস করতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি চমৎকার স্ক্যানিং বিকল্প। কিশমিশ ভীষণ মাত্রায় প্রাকৃতিক চিনিতে পূর্ণ এবং পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও আয়রনের পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। নিয়মিত পরিমাণ মতো কিশমিশ খেলে এটি শরীরের বিপাক বাড়াতেও সাহায্য করে।
কীভাবে একসাথে খাবেন গুড় ও কিশমিশ ?
একটি পাত্রের মধ্যে গরম জল নিয়ে তাতে প্রতিদিন রাতের বেলা ৪-৫ টি কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে দিন আর ছোট ৫ গ্রামের এক টুকরো গুড় এক গ্লাস জলে রেখে দিন। প্রথমে খালি পেটে অল্প মাত্রায় গুড় খান এবং তারপর গুড়ের জল পান করুন। এটি নিয়মিত করলে শরীরে বিপাক বৃদ্ধি পাবে এবং ওজন হ্রাস পাবে। কিশমিশ খাওয়ার অপর একটি উপায় হল দই। ৪-৫ টি কিশমিস মিশিয়ে দই এর সাথে খেলে সেটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়।
গুড় ও কিশমিশ একসাথে মিশিয়ে খেলে কী কী উপকার হয় ?
গুড় ও কিশমিশ দুটোই সুপারফুড খাদ্য হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ। কারণ এই দুটো খাদ্যই স্বাস্থ্যকর। দুটিকে একসাথে মিশিয়ে খেলে তা শরীরে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসযন্ত্র পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ মানবদেহের হাড়কে মজবুত করে ও ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
প্রত্যেক মোটা মানুষের কাছেই ওজন হ্রাস করা বেশ কঠিন কাজ। ওজন হ্রাস করতে হলে আপনাকে সঠিক মাত্রায় ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে। আপনাকে নিজেকে বুঝতে হবে কোন পদ্ধতিতে আপনার ওজন ভালোভাবে হ্রাস পাবে। তবে ওজন কমানোর জন্য এই দুটি উপাদান ( গুড় ও কিশমিশ) মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই পদ্ধতি চালু করা বিশেষ জরুরি।