#Pravati Sangbad Digital Desk:
করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রন এর সময় অনেক রকম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। সকলকে বুস্টার ডোজের বাধ্যবাধকতা প্রথমেই করা হয়নি। সবার প্রথমে বুস্টার ডোজ প্রথম সারির করণা যোদ্ধাদের, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের এবং ডাক্তার ও নার্সদের জন্য প্রযোজ্য করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল কোন ব্যক্তি কমিটি আক্রান্ত হলে যখন সুস্থ হবেন তারপর থেকে তিন মাস পর বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এছাড়াও করোনার জন্য দুটি টিকা সম্পন্ন হলে যে কেউ নিতে পারে। এক্ষেত্রেও ওই একই নিয়মে তিন মাস পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় ডোজের পর। বুস্টার ডোজ আসার পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছিল করোনাই আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এই দোষ নিতে হবেই এবং এই ব্যাপারে প্রশাসন যথাযথ নজরদারি রাখবে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে সামনের শ্রেণীর কোভিড যোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের ব্যক্তিদের, এছাড়াও যাদের কোমর্বিডিটিও আছে এবং যারা স্বাস্থ্যকর্মী তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এবং বুস্টার ডোজ এর ব্যাপারে যে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে যেই টিকা গ্রহণ করেছে তাকি সেই বুষ্টারই নিতে হবে।
এইবার বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানা গেছে করোনা প্রতিরোধে যারা দুটি টিকা নিয়েছেন তার থেকেও বেশি কাজ করছে এই বুস্টার ডোজ। সাধারণ টিকাকরণের থেকে বুস্টার ডোজ মানুষের দেহে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করে ভাইরাস প্রতিরোধে। বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়ে গেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। করোনা বর্তমানে পরিণত হয়েছে এক দীর্ঘমেয়াদী রোগে। বিজ্ঞানীদের মতে সার্স-কোভ-টু এর বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজ দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ তৈরি করতে সক্ষম। ফলে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক বায়োটেকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের ছয় মাস পর অবশ্যই বুস্টার ডোজ নিতে হবে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদী রক্ষা পাওয়া যাবে। মানুষের শরীরে বিভিন্ন ভাইরাসের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই বুস্টার ডোজ। এছাড়াও দেখা গেছে যারা যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের করোনা সংক্রমনের হার কমে গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : sagarika chakraborty