#Pravati Sangbad Digital Desk:
আস্তে আস্তে করোনার তৃতীয় ঢেউ এর প্রভাব কমতে শুরু করেছে। পুনরায় আগের পরিবেশে ফিরছে রাজ্যও। সংক্রমণের হার অনেক কম। তাই সমস্ত বাড়তি বিধি-নিষেধ যাচাই করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে চিঠি পাঠায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনার প্রভাব অনেকটা কমে গেলেও রোজকার জীবন স্কুল খোলা নাইট কার্ফু ইত্যাদিতে এখনো আগের মতন কড়াকড়ি বেশ কিছুটা আছে। ধীরে ধীরে খুলছে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি কোথাও আগে কোথাও পড়ে। সেখানেও বর্তমান থাকছে বিধি নিষেধ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অবস্থা আগের থেকে উন্নত হলে বাড়তি বিধি-নিষেধ শিথিল করে নেওয়ার কথাই বলেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া চিঠি অনুযায়ী একুশে জানুয়ারি থেকে সারাদেশে সংক্রমণের হার অনেক কম তে শুরু করেছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে নিজেদের অঞ্চলের সংক্রমণের হার বিচার-বিবেচনা করে বিধিনিষেধ শিথিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই সেটা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দৈনিক সংক্রমণের হার এসবের উপর নজর রেখেই।
তবে কড়াকড়ি শিথিল হলেও মাস্ক পরা দূরত্ব বজায় রাখা প্রভৃতি বিধিনিষেধের আগের মতোই জোর দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মধ্যে অনেক বেশি সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলেছে সরকার থেকে। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরেই বিমানবন্দরে বিভিন্ন রাজ্য যে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে তা নিয়ে উঠে এসেছে চিঠি। তাতে বলা হয়েছে বিধিনিষেধ যেমন প্রয়োজন তেমনি দরকার অর্থনীতির গতি। তবে গত দু'বছরে এই প্রথম বিধি নিষেধ শিথিল করার কথা বলে মোদি সরকার। তারপরের দিনই মনে করিয়ে দিয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায় আবার বেড়েছে সংক্রমণের হার। এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমনের হার পুরোপুরি কমেনি আরো একমাস থাকবে এর প্রভাব। বিশেষজ্ঞদের মতে ডেল্টার থেকেও আরো ভয়ঙ্কর কোনো নয়া স্ট্রেনের সম্ভাবনা কম। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে চলেছে সব দেশে। অনেকের ধারণা করোনা সংক্রমনের প্রভাব ধীরে ধীরে কম হওয়ায় এবার অর্থনীতির দিকে বিশেষ নজর রাখতে চাইছে কেন্দ্র। তবে বৈদেশিক সংযোগ যেহেতু অনেকটাই কম আছে তাই খুব তাড়াতাড়ি অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। এছাড়াও অর্থনীতিবিদদের একাংশের অভিযোগ টানা লকডাউন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ছোট এবং মাঝারি ব্যবসাকে। অনেক কষ্টেও পুরোপুরিভাবে আগের আয়তনে পৌঁছানো কখনোই সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া চিঠি অনুযায়ী জানুয়ারির শেষের সংক্রমণের হার ছিল ১৫ শতাংশ যা ১৫ ই ফেব্রুয়ারি থেকে ৩.৬৩ শতাংশে নেমে এসেছে।